বরিশালে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ এইচএসসি পরীক্ষার প্রাকটিক্যাল খাতায় বেশি নাম্বার দেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কৃষি শিক্ষার এক শিক্ষক কর্তৃক অবৈধ পন্থায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামি ২৭, ২৮ ও ২৯ মে আগৈলঝাড়া কেন্দ্রে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার কৃষি বিভাগের কৃষি শিক্ষা ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই কেন্দ্রের ৫৩৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে। পরীক্ষা গ্রহনে কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা সদরের শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের কৃষি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক অপূর্ব হাজরা। পরীক্ষা গ্রহনে কেন্দ্রের দ্বায়িত্বে থাকায় অপূর্ব হাজরা কলেজ গবর্নিং বডির সদস্যদের পাশ কাটিয়ে পরীক্ষায় বেশি নাম্বার দেয়ার কথা বলে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে জনপ্রতিনিধি ২’শ টাকা করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। যেসব শিক্ষার্থী প্রথমে টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছিল ওই শিক্ষক কর্তৃক তাদের নাম্বার কম দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় পরে বাধ্য হয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় কাঙ্খিত নাম্বর পাওয়ার আশায় তারাও টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রভাষক অপূর্ব হাজরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বোর্ড মনোনীত দুইজন পরীক্ষক হাবিবপুর কলেজ থেকে এখানে পরীক্ষা নিতে আসবেন, তাদের সম্মানী দিতে হবে। তাছাড়া যারা পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের আপ্যায়ন খরচ ও সম্মানী দেয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ১২০ টাকা করে নেয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২’শ টাকা নয় ১২০ টাকা করে নেয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) হেমায়েত উদ্দিন সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য সরদার হারুন রানা বলেন, ১২০ টাকা ব্যবহারিক পরীক্ষায় ধার্য করা থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশী টাকা নেয়ার ব্যাপারে ওই শিক্ষকই জবাব দেবেন। একই অভিযোগ রয়েছেন গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার অধিকাংশ কলেজ গুলোর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।