নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার বিচার চাওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র কর্তৃক স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দা নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের স্বীকার আব্দুর রহমান মিয়াকে আজ বুধবার দুপুরে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামে।
নির্যাতনের স্বীকার খাজুরিয়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রহমান মিয়া অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী লিপি বেগম (২১) বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদারের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে আসছিলো। সে সুবাধে চেয়ারম্যানের বখাটে পুত্র নাহিদ হোসেন নিপুর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার স্ত্রীর ওপর। বিভিন্ন সময় নিপু তার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গৃহবধু লিপি বেগম বিষয়টি তার স্বামী আব্দুর রহমানকে জানালে সে (রহমান) তিনি একই এলাকার ইউনুস মিয়ার কাছে বিষয়টি জানিয়ে বিচার চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে নিপু আব্দুর রহমানকে ধরে এনে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। এসময় তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলেও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান পুত্রের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। একপর্যায়ে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় রহমানকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার (রহমানের) অবস্থার অবনতি হলে বুধবার দুপুরে রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে আব্দুর রহমানের পিতা কালাম মিয়া বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
{loadposition AD101}
আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সাজ্জাত হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান পুত্র নাহিদ হোসেন নিপুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আব্দুর রহমান তার স্ত্রীকে মারধর করায় আমি তাকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করেছি। কু-প্রস্তাবের অভিযোগ সঠিক নয়।