মিজানুর রহমান বুলু ॥ প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিসের চার হাজার কর্মীর পাঁচ মাস বেতন বন্ধ দুই বছর মেয়াদী চাকুরীর এ সকল কর্মীরা দীর্ঘ পাঁচ মাস বেতন না পাওয়ার কারনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বেতন না পাওয়ার কারনে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পূর্বে ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় আসার পরে পাইলট প্রকল্প স্বরুপ গোপালগঞ্জ জেলার ৫ টি উপজেলায় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়ে এ প্রকল্প চালু করা হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন নিয়ে ছয় হাজার টাকা বেতনে বর্তমানে কোটালীপাড়া উপজেলায় তিন হাজার পাঁচ শত উনত্রিশ জন কর্মী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসে কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মুসলিম কর্মী রয়েছে। এ সকল কর্মীদের ঈদের আগে বেতন পাবার সম্ভাবনা নেই বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। নিয়মিত ভাবে অফিস করে অনিয়মিত ভাবে বেতন পাওয়ার কারনে এ সকল কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ন্যাশনাল সাভির্সের অসংখ্য কর্মীরা বলেন, আমরা যে সকল অফিসে কাজ করি সে সকল অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পান। কিন্তু আমারা তাদের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করেও নিয়মিত ভাবে বেতন পাইনা। ঈদের আগে আমরা বেতন না পেলে একটু সেমাই-চিনি পর্যন্ত কিনতে পারবো না। এ ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বাড়ৈ সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের বেতনের ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষর সাথে আলাপ করেছি। তবে ঈদের আগে বেতন পাবার সম্ভাবনা নেই।