সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা – বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে সাংবাদিকদের বের করে দিয়েছে ইন্টার্নী চিকিৎসকেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ঢাকার পর এবার বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে একদল উশৃংঙ্খল ইন্টার্নী চিকিৎসকদের বাঁধার মুখে পরেছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। ওই চিকিৎসকেরা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ঢুকতে না দেয়ারও হুমকি প্রদর্শন করেন। তাদের হুমকি ও বাঁধার মুখে অবশেষে হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে সাংবাদিকেরা। এ নিয়ে পুরো সাংবাদিক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে।

বেসরকারি চ্যানেল সময় টেলিভিশন-এর বরিশাল ব্যুরো অফিসের কাওছার হোসেন জানান, “ঈদের ছুটিতে চিকিৎসক সংকটের কারনে শেবাচিমের রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন” এ খবরের সত্যতা সন্ধানে তিনি ও ভিডিও জার্নালিষ্ট সাগর বৈদ্যসহ স্থানীয় পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মীরা হাসপাতালে যান। হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় এক অভিভাবক তার অসুস্থ্য পুত্রর চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে বাড়ি যাবার সময় তার সাথে কথা হয় সংবাদকর্মীদের। ওই অভিভাবক ঈদের ছুটির কারনে চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে-সময় টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দেন। এ সংবাদ মূহুর্তের মধ্যে কর্তব্যরত ইন্টার্নী চিকিৎসকদের মধ্যে পৌঁছলে তারা ১৫/২০ জন একত্রিত ভাবে জড়ো হয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে পরেন। একই সাথে তারা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা প্রদানসহ আপত্তিকর মন্তব্য করে সাংবাদিকদের হাসপাতাল ত্যাগে বাধ্য করেন। এসময় উত্তেজিত ইন্টার্নী চিকিৎসক রিপন চন্দ্র গাইন, পার্থ ও গৌতম সাংবাদিকদের হাসপাতালের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবেনা বলেও হুংঙ্কার করেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ফেরদৌস আলমের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।