জ্বীন ছাড়ানোর নামে এক ভন্ড সাধুর কান্ড – বরিশালে যুবককে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গৌরনদী, ২৩ আগস্ট ॥ জ্বীন ছাড়ানোর নামে কতিথ এক ভন্ড সাধু ও তার সহযোগীরা পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে অমল হালদার (২৬) নামের এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ইন্দেরহাওলা গ্রামে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চারজনকে আসামি করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন অমল হালদারের পিতা একই ইউনিয়নের পূর্ব তেঁতলা গ্রামের দুলাল হালদার। মামলায় আসামি করা হয়েছে, ভন্ড সাধু সুকীর্তি চন্দ্র রায় (৬০), তার পুত্র হরিদাস রায় (৩০), মেয়ে জামাতা শুভাষ হালদার (৩৫) ও ভক্ত কুষারকে (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ ভন্ড ফকিরের পুত্র হরিদাস রায়কে গ্রেফতার করেছে।

বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুল হক জানান, জ্বীন, ভূত তাড়ানোসহ নানা জটিল রোগ থেকে মুক্তির নামে দীর্ঘদিন থেকে ইন্দেরহাওলা গ্রামের সাধু সুকীর্তি চন্দ্র রায় ফিকির ও তদবির দিয়ে আসছেন। গত এক সপ্তাহ পূর্বে উদয়কাঠী ইউনিয়নের পূর্ব তেঁতলা গ্রামের দুলাল হালদারের পুত্র অমল হালদার জ্বরে আক্রান্ত হয়। বুধবার তাকে সাধু সুকীর্তি রায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জানান, অমলকে জ্বীনে পেয়েছে। আর এ জ্বীন থেকে রেহাই পেতে হলে অমলকে পুকুরের পানিতে ৪০১ টি চুবনি দিতে হবে। বুধবার রাত ১২ টার পরে অমলকে পুকুরের পানিতে নামায় সাধু সুকীর্তি ও মামলার অন্যান্য আসামিরা। একপর্যায়ে ২২৪টি চুবনি দিতেই অমলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরপরই সাধু সুকীর্তি ও তার পরিবারের লোকজন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা পুলিশ ভন্ড ফকিরের পুত্র হরিদাস রায়কে গ্রেফতার করেছে বলেও ওসি উল্লেখ করেন।