গৌরনদী-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক সংস্কারের নামে দুর্ভোগ – অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গৌরনদী-গোপালগঞ্জ ভায়া আগৈলঝাড়া, পয়সারহাট মহাসড়কের কাজ কবে শেষ হবে এমন প্রশ্ন এখন জনগুরুতপূর্ণ এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসহ এলাকাবাসীদের। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের বিভিন্নস্থানে কাপেটিং উঠিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখায় যানবাহন চলাচলের চরম বিঘ্ন ঘটছে। বর্তমানে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চললেও বিভিন্নস্থানে সড়ক খুড়ে রাখায় যানবাহনসহ সাধারণ লোকজনের চলাচলের সীমাহিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ কারনে যানবাহন চলার সময় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। এক যুগ পূর্বে গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে শুরু হওয়া গৌরনদী-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের কাজ আজ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ সনে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়া সদর পর্যন্ত ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়ক নির্মাণ কাজ পায় বরিশালের ওটিবিএল নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর থেকে পয়সারহাট পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে অপর অংশের কাজ পায় ফরিদপুরের সেঙ্গুইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী লিমিটেড। ২০১০ সনের অক্টোবর মাসে ওই দু’ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানদের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশে ২০১১ সনের মধ্যে মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো অহেতুক বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাজে বিলম্ব করে আসছে। দু’ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও পয়সারহাট-আগৈলঝাড়া অংশের কাজ চলছে ঢিমে তালে। আর এ কারনে যানবাহনসহ লোকজনের চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ মহাসড়কের আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট অংশের কালুরপাড় স্ট্যান্ডের পূর্বপাশে, ছবিখাঁরপাড় মন্দির সংলগ্ন এলাকায়, জোবারপাড় প্রাইমারী স্কুলের উত্তরপাশে ব্রিজের গোঁড়ায় এবং ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন পূর্বপাশে ব্যাপক গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে রয়েছে। এসব স্থানে খানাখন্দের কারনে অহরহ ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা ও জেলা শহর বরিশালে ৩৫ থেকে ৪০টি যাত্রীবাহি বাস ও কোচ চলাচল করে থাকে। পরিবহন যাত্রী ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

গৌরনদী-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক সংস্কারের নামে দুর্ভোগ - অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা