চামড়া নিয়ে বিপাকে পরেছেন বরিশালের ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে বরিশালের ব্যবসায়ীরা। এবার নির্দিষ্ট কোন দর নির্ধারণ না করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। এ সুযোগে বরিশালের বিভিন্নস্থান থেকে ভারতের এজেন্টরা চামড়া কিনে নিচ্ছেন হরহামায়াশেই।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ চামড়ার জোগান হয় কোরবানীর ঈদে। বরিশালে পাইকারী চামড়ার মোকাম পদ্মাবতী থেকে গত বছর ৩৫ হাজার গরু ও ১৫ হাজার পিচ ছাগলের চামড়া ঢাকার লালবাগের আড়তে পাঠানো হয়েছিলো। এবারের ঈদে বেশী পশু কোরবানী হওয়াতে গত বছরের সংখ্যা ছাড়িয়ে তিনগুনে পরিনত হয়েছে। অপরদিকে যেমন লবনের দাম দ্বিগুন হয়েছে, তেমনি বেড়েছে পরিবহন খরচ। অন্যদিকে ট্যানারী এসোসিয়েশন চামড়ার দর নির্ধারণ না করায় চামড়া নিজস্ব দরে কিনতে হচ্ছে। এজন্য বরিশালের ব্যবসায়ীরা ফের লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। আর মাঠ থেকে যারা চামড়া ক্রয় করে বরিশালের আড়তে বিক্রি করতে এসেছেন তাদের ফিরতে হয়েছে লোকসানের বোঝা বয়ে।

চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছরের ঈদে লোকসান হওয়াতে আর নির্ধারিত দর না পাওয়ায় বরিশালের পাইকাররা চামড়া কেনার উৎসাহ অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এ সুযোগে সিমান্তবর্তী যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া এলাকা থেকে ভারতীয় এজেন্টরা ট্রাক যোগে বরিশাল থেকে চামড়া ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আরো জানান, বেশী পশু কোরবানী হওয়ায় ও চামড়া কম দামে কিনতে পারায় এবার তারা লাভের আশা করছেন।  তবে ট্যানারী মালিকরা সিন্ডিকেট করলে এ আশা বিপরিত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। বরিশাল হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক শহিদুর রহমান শাহিন এক্ষেত্রে প্রশাসনের উদ্যোগী হয়ে ভূমিকা রাখার দাবি করেছেন।