ডাকাত ভাগ্নেকে রক্ষা করতে মামা কানু ও গোবিন্দের দৌড়ঝাপ

বরিশাল সংবাদদাতা ॥ নগরীর কাটপট্টি চার্চ ওয়ার্ড মন্দির সংলগ্ন বাসিন্দা আন্ত:জেলা দূধর্ষ ডাকাত দলের সর্দার ভাগ্নে বিক্রমকে রক্ষা করতে মামা কানুদেব সরকার ও গোবিন্দ সরকারের রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসন পাড়ায় দৌড়ঝাপ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত সর্দার বিক্রম জিৎ দে’কে ভাগ্নের ডাকাতি করা অর্থ দিয়ে মামলা ও পুলিশের রিম্যান্ড থেকে মুক্ত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিক্রমের মামারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাগ্নে বিক্রমের ডাকাতি করা অর্থ দিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে মামা কানু ও গোবিন্দ সরকার। স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, আশির দশকে নগরীর গীর্জা মহল্লা হক জুয়েলার্স ডাকাতির ঘটনায় কোতয়ালী থানার দারগা লোকমানের হাতে গ্রেফতার হন দাদু মহাদেব সরকার ও মামা কানুদেব সরকার। নগরীর কালী বাড়ি রোড এলাকায় উত্তম জুয়েলার্সে রয়েছে অবৈধ সুদের ব্যবসা। জুয়েলার্সেটিতে দিন গড়ালেই বসে জুয়ার আট্টা।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, কাটপট্টি রোডের বাসিন্দা বিভাগের খ্যাতনামা আ্যড.শ্রী সুবোদ দে’র বাসায় বিক্রমের মা কাজ করত। সেখানে আ্যড.শ্রী সুবোদ দে পুত্র সুধির দের সাথে বিক্রমের মায়ে অবৈধ সম্পর্ক হয় এবং এরপর বিক্রমের জন্ম হয়। পরবর্তীতে অ্যাড.সুবোদ দে লজ্জায় ঘৃনায় পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করে কলকাতায় চলে যান। ছেলে বেলা থেকে একটু একটু করে বিক্রম জিৎ জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। জুয়ার টাকা জোগার করতে বিক্রম জিৎ ডাকাতি করতে ডাকাত দলে যোগ দেন। ভূক্তভোগী ইত্যাদি জুয়েলার্সের প্রো: গোবিন্দ দেবনাথ জানান, বিক্রম শুধু ডাকাতি নয়, এক সময়ে নগরীর বিভিন্ন ভিডিও দোকান থেকে টিভি ও ভিসিডি ভাড়া এনে বিক্রি করে দিত। যেদিন আমার বাসায় ডাকাতি করে তার দুই দিন পূর্বেও বিক্রম আমার ইচ্ছা না থাকা সত্বেও আমার বাসায় আসে। এরপর ডাকাতদের নিয়ে সুবিধা মত অভিযানে নামে।

উল্লেখ্য, ডিবি পুলিশ রহস্য উদঘাটন করতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এবং এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। আটককৃতরা হলো মাদারীপুর পুরান পাড়া মোড় এলাকার দীপ জুয়েলার্সের প্রো: অভিনাশের ছেলে নিখিল (২৮), বরিশাল সদর উপজেলার কড়াপুর এলাকার মৃত আ: রশিদের ছেলে পলাশ (২৮), নগরীর কাটপট্টি চার্চ ওয়ার্ড মন্দির সংলগ্ন সুধির কুমারদের ছেলে ও দাদু মহাদেব সরকারের নাতী বিক্রম জিৎ দে (৩৮)কে।