বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এককালের চিহ্নিত চোর এখন মানবাধিকার কর্মী

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দিনমজুরের ভ্যান চুরি করে এলাকাবাসির হাতে ধরাপরে খেয়েছিলো গণধোলাই। গ্রাম্য সালিশে জরিমানা দিয়ে গ্রাম ছেড়ে দীর্ঘ ৫ বছর ছিলো আত্মগোপনে। গত এক বছর পূর্বে পূর্নরায় এলাকায় ফিরেছেন মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে। গ্রামে ফিরেই ৩/৪ জন সহযোগী নিয়ে শুরু করেছেন বেপরোয়া চাঁদাবাজি। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী এলাকার। মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেয়া এককালের চিহ্নিত চোর কামাল সরদার ও তার সহযোগীরা গ্রামের নিরিহ জনসাধারনকে কারনে অকারনে ভয়ভীতি দেখিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা প্রতারক কামাল সরদার ও তার সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার দক্ষিন চাঁদশী গ্রামের মৃত আকুব্বর আলী সরদারের পুত্র ও এলাকার পেশাধারী চোর হিসেবে পরিচিত কামাল সরদার নিজেকে একজন মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে তার অনুসারী ৩/৪ জন যুবককে নিয়ে এলাকার নিরিহ জনগনকে কারনে অকারনে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে।

সূত্রমতে, এলাকার পেশাধারী চোর হিসেবে পরিচিত কামাল চুরি করতে গিয়ে একাধিকবার জনতার হাতে ধরা পরে গণধোলাইর শিকার হয়েছে। সর্বশেষ গত পাঁচ বছর পূর্বে উত্তর চাঁদশী গ্রামের দিনমজুর ইউনুস মোল্লার ভ্যানগাড়ী চুরি করে কামাল জনতার হাতে ধরা পরে। সে সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা জরিমানা আদায় করে কামালকে এলাকা ছাড়া করে। দীর্ঘদিন নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে গত এক বছর পূর্বে কামাল নিজ এলাকায় ফিরে নিজেকে একজন মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে আসছে। এরইমধ্যে সে (কামাল) ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন কারনে অকারনে গ্রামের সাধারন জনগনকে ভয়ভীতি দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অতিসম্প্রতি কামাল ও তার সহযোগীরা গৈলা গ্রামের জনৈক সরোয়ারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সূত্রে আরো জানা গেছে, সোমদ্দারপাড় গ্রামের পংকজ দাস ও নিমাই বরকন্দাজের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক দ্বন্ধ চলে আসছিলো। সেখানে কামাল নিজেকে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উভয়পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও চাঁদশী গ্রামের বলাই নন্দীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই প্রতারক চক্রটি। ভয়ভিতির মাধ্যমে চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে কামালের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল সরদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।