আগৈলঝাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক সাইফুলকে শেবাচিমে ভর্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ আগৈলঝাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত দৈনিক বরিশাল বার্তার আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি সাইফুল মৃধাকে গত ৩ নবেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগৈলঝাড়া হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ সংগ্রহের জেরধরে আগৈলঝাড়া উপজেলার কর্মরত দু’সাংবাদিকের ওপর গত ২ নবেম্বর দুপুরে ও বিকেলে দু’দফা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত সাইফুল মৃধাকে প্রথমে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের রাজু ফরিয়ার কন্যা সুমাকে যৌতুকের দাবিতে গত ২ নবেম্বর সকালে অমানুষিক নির্যাতন করে বসত ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে তার স্বামী বড়ইতলা গ্রামের রেজাউল সরদার। নির্যাতিতা সুমার মা মাহিনুর বেগম ওইদিন দুপুরে বিষয়টি দৈনিক বরিশাল বার্তার আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি সাইফুল মৃধার কাছে অভিযোগ করেন। সংবাদের সত্যতা যাচাই করার জন্য তাৎক্ষনিক সাংবাদিক সাইফুল মৃধা ঘটনাস্থল বড়ইতলা গ্রামে যায়। মাহিনুর বেগমের দেয়া অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সাংবাদিক সাইফুল রেজাউলের বাড়ি থেকে বের হয়ে তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি না দেখে খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা পাশ্ববর্তী খাল থেকে মটরসাইকেলটি উদ্ধার করেন। এসময় ঘটনাস্থলে আকস্কিক ভাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সংগ্রহের জেরধরে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনির বেপারী ওরফে মন্টে মনির ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আহত সাইফুল বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিন বিকেলে থানার গেটের সম্মুখে বসে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী মনির বেপারী ওরফে মন্টে মনির ও তার সহযোগীরা পূর্ণরায় সাংবাদিক সাইফুল মৃধা ও সেলিম ভূঁইয়ার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে সন্ত্রাসী মনির বেপারী ওরফে মন্টে মনির, তার সহযোগী ইমানুল গাজী ও শামীমকে গ্রেফতার করে। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক সাইফুল মৃধাকে প্রথমে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গৌরনদীর কর্মরত সাংবাদিকেরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গত ৩ নবেম্বর সকালে আহত সাংবাদিক সাইফুল মৃধার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ছুঁটে আসেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম সরদার, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লাল্টু, ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম, গৈলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হালিমুজ্জামান হালিম, আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ মোল্লাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা। এসময় হাসপাতালে আসা নেতৃবৃন্দরা সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।