জনতা ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা মুখোমুখী – বামরাইল ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনের স্থান নির্ধারন নিয়ে চরম উত্তেজনা

গৌরনদী ও উজিরপুর সংবাদদাতা ॥ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ৭ নং বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের স্থান নির্ধারন নিয়ে ইউনিয়নের সাধারন জনগনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বর্তমান ও নিজের বাড়ির সম্মুখে ভবন নির্মানের দাবিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে উভয়গ্র“পের সমর্থকেরা মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল আলম।

সরেজমিনে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে বামরাইল ইউনিয়নের উত্তর-পূর্বের শেষ সীমান্তে ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরদার নান্টুর বাড়ির সম্মুখের পুলিশ ফাঁড়ির পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছিলো। উজিরপুর উপজেলা পরিষদ ও বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তালুকদারসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বর্তমান ইউপি ভবনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার জনসাধারনদের পরিষদে যোগাযোগের জন্য দীর্ঘদিন থেকে চরম দুর্ভোগসহ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ হোসেন হাওলাদার বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে নিজস্ব ভবনের স্থান নির্ধারনের জন্য অতিসম্প্রতি ইউনিয়নের সদস্য-সদস্যা, স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়নবাসীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার জনসাধারনের যোগাযোগের সুবিধার্থে ইউনিয়নের মধ্যবর্তীস্থান হিসেবে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক ও সানুহার-সাতলা সড়কের পাশ্ববর্তী সানুহার এলাকাকে নির্ধারন করা হয়। সেমতে ইতোমধ্যে সানুহার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ইউনিয়ন পরিষদের নামে ৩০ শতক জমিও ক্রয় করা হয়েছে।

একাধিক ইউপি সদস্যরা বলেন, ইউনিয়নবাসীর দুঃখ-দুর্দশা যাহাই হোক না কেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরদার নান্টু তার বাড়ির সম্মুখে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মানের জন্য তাহার কতিপয় অনুসারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরদার নান্টু বলেন, পূর্ব থেকে যেখানে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছে, সেখানেই ভবনটি নির্মান করা হলে ইউনিয়নবাসীর সুবিধা হবে।