ঘরের মধ্যে ঘর বানিয়ে গৌরনদী

ভবনের টিনে ছিদ্র, পর্যাপ্ত বিছানা না থাকা, বৈদ্যুতিক পাখা, টয়লেট না থাকায় চরম দুভোর্গের মধ্যে বসবাস করছেন ৬০ কিলোমিটার মহাসড়কের একমাত্র পাহারাদার হাইওয়ে থানার ২৩ জন পুলিশ সদস্যরা। একটু বৃষ্টি হলেই ভবনের বারান্দাসহ পুলিশ সদস্যদের বিছানাপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশ সদস্যরা ঘরের মধ্যে ঘর বানিয়ে জরার্জীন ভবনেই বসবাস করছেন। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শনে এসে হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যদের এ দুভোর্গ স্ব-চক্ষে দেখলেও অর্ধ্যবধি ভবনটি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে ২৪টি হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িকে হাইওয়ে থানা হিসেবে ঘোষনা করেন। এরমধ্যে বরিশাল জোনের মধ্যে একটি হাইওয়ে থানাই হচ্ছে গৌরনদী। সে মতে গৌরনদী হাইওয়ে থানার জন্য একটি উন্নত মডেলের গাড়ি, দুটি মোটর সাইকেল সরবরাহ করা হলেও হাইওয়ে থানার জন্য নির্ধারিত কোনস্থানে ভবন নির্মান করা হয়নি। যার ফলে জরার্জীন অডিটোরিয়াম ভবনেই চলছে হাইওয়ে থানার সকল কার্যক্রম। ভবনে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন বৈদ্যুতিক পাখা। গরমের সময় ভবনের বাইরে বসেই অফিসের সকল কাজ করতে হয় হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যদের। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি ও শীতের মৌসুমে শিশির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভবনের মধ্যে বিছানার ওপরে বাঁশ দিয়ে পলিথিন ঝুঁলিয়ে (টাঙ্গিয়ে) ঘরের মধ্যে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন পুলিশের সদস্যরা। এছাড়াও হাইওয়ে থানার নিরাপত্তার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। তাই নিজ উদ্যোগে পুলিশ সদস্যরা বাঁশ দিয়ে বেড়া বানিয়ে থানার চারিপার্শ্বে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।

জানা গেছে, জরার্জীন ভবনে হাইওয়ে থানায় কোন পুলিশ সদস্যরা এসে বেশিদিন থাকতে চাননা। কয়েকদিনের মধ্যেই তারা নিজেদের ইচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়ে যান। তারই ধারাবাহিকতায় গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসির পদটি দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে শূণ্য রয়েছে। পূর্বে থানার একমাত্র এস.আই গাজী সামছুল আলম দু’বছর ধরে ওসির দায়িত্ব পালন করেন। অতিসম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলী হওয়ার পর তারস্থলে এস.আই ছবির উদ্দিন যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি (এস.আই ছবির উদ্দিন) গৌরনদী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।