মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গৌরনদী ॥ বিএনপির চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়া আগমন উপলক্ষে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের মননোয়ন প্রত্যাশী পাঁচ গ্রুপই ব্যাপক শো ডাউনের আয়োজন করেন। খালেদা জিয়া আগমনের পূর্ব মুহুর্তে টরকী বাসষ্ট্যান্ডে যুবলীগের কতিপয় নেতা-কর্মী মিছিলসহকারে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার ও মাইকসেট ভাঙচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকন কুদ্দুছুর রহমানের শুভেচ্ছা সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছিড়ে ফেলে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় গোটা বাসষ্ট্যান্ড এলাকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ছাড়া গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে একটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।
রবিবার বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দক্ষিণাঞ্চেলের প্রবেশদ্বার গৌরনদীর ভুরঘাটা থেকে শুরু করে ইল্লা, বার্থী, কটকস্থল, টরকী বাসষ্ট্যান্ড, গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড, মাহিলাড়া, বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রুপ গুলো অবস্থান নেন। পাঁচ গ্র“পের নেতাদের ছবিসংবলিত ডিজিটাল ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। ভুরঘাটা, কটকস্থল, টরকী ও বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থান নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকন কুদ্দুছুর রহমানের গ্রুপ। বাথী, টরকী ও গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর অপর সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপি সভাপতি ইজ্ঞিনিয়ার আব্দুস সোবহান গ্রুপ। গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের মাঝ বরারর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সংস্কারপন্থি নেতা জহির উদ্দিন স্বপনের সমর্থকরা। টরকী , কসবা ও গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের উত্তর প্রান্তে গৌরনদী পৌর বিএনপির সভাপতি ও বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জান মনির গ্র“প। কটকস্থল বাসষ্ট্যান্ডে দক্ষিন প্রান্তে বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইজ্ঞিনিয়ার শাহ আলম গ্র“প। রাত সোয়া দশটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী এলাকা অতিক্রম করেন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর। অতিক্রমের সময় স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান।
বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকন কুদ্দুছুর রহমান জানান, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া থেকে ৩০ হাজারের অধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দান করেছেন।
অফিসে হামলা ও ভাঙচুর : যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে বিকেল তিনটা থেকে স্থানীয় নেতা-কমীরা টরকী বাসষ্ট্যান্ডে জড়ো হন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আল-আমীন হাওলাদার ও যুবলীগ নেতা ফরহাদ মুন্সী নেতৃত্বে একটি মিছিল টরকী বাসষ্ট্যান্ডে বের হয়। মিছিল থেকে কতিপয় যুবলীগের নেতা-কমী বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকন কুদ্দুছুর রহমানের অফিসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা অফিসের ৫ টি চেয়ার ও মাইকের সেট ভাঙচুরসহ শুভেচ্ছা সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছিড়ে ফেলে। পরবর্তীতে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। মিছিলের কথা স্বীকার করলেও হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আল-আমীন হাওলাদার ও যুবলীগ নেতা ফরহাদ মুন্সী। হামলা ও ভাঙচুরের প্রসঙ্গে তারা বলেন, বিএনপির অভ্যান্তরিন কোন্দলের কারনে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।
ককটেল বিস্ফোরন : বিএনপির খালেদা জিয়া সড়ক পথে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রমের কয়েক ঘন্টা আগে রবিবার বিকেলে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের নিখিল শীলের সেলুনের পিছনে একটি ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠলে স্থানীয দোকানদার ও বাসস্ট্যান্ডের লোকজন দিকদ্বিক ছুটাছুটি করে। এতে গোটা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।