গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাপাচা দেয়ার চেষ্টা – আগৈলঝাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করেছে তার প্রেমিক ও তার তিন সহযোগীরা। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।

এজাহারে জানা গেছে, উপজেলার সেরাল গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ১৯ বছরের কন্যার সাথে দক্ষিণ গৈলা গ্রামের সোহেল গাজীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সোহেল গাজী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে একই এলাকার কাজীবাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে সোহেল গাজী ও তার সহযোগী টিটু গাজী, জাহিদুল সরদার, সিন্টু সরদার ওই যুবতীর হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ওইদিন গভীর রাতে থানা পুলিশের সহযোগীতায় ধর্ষিতার পিতা তার কন্যাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ২২ নবেম্বর ধর্ষিতা বাদী হয়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে আগৈলঝাড়া থানার ওসিকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল ও ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে উপজেলার কদমবাড়ি গ্রামের দিনমজুর কানাই লাল অধিকারীর স্ত্রী শেফালী রানীকে (৩৫) গত বুধবার রাতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পাশ্ববর্তী উত্তর চাত্রিশিরা গ্রামের প্রভাবশালী নান্নু বকতিয়ার। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরা উঠেপরে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, সমাজসেবক পরিমল বাড়ৈসহ একাধিক ব্যক্তিরা। প্রভাবশালীরা ধর্ষিতাকে মামলা দায়ের করতে দিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।