খোন্দকার কাওছার হোসেন ॥ কারও আহ্বানে নয়, নিজের প্রয়োজনে সংসদে যাবে বিএনপি। গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোল টেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান জাতীয় সংসদের শীতকালীন (১৬তম) অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষনে বিরোধী দলকে সংসদে আসার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে মওদুদ আহমেদ একথা বলেন।
মওদুদ বলেন, বিরোধী দল বিগত দিন সংসদে গেলেও কথা বলার সুযোগ পায়নি। এমনকি সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা আমাদের নেতাকে (জিয়াউর রহমান) নিয়ে সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংস্থার (বাসাস) ১১ বছর পূর্তিতে প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুশাসন ও মানবাধিকার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সভাপতিত্বে এ গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি হুমায়ূন কবির ব্যাপারী, মনজুর হোসেন ইসা প্রমুখ।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সংসদে জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ দেয়া হলেও তা গ্রহণ করা হয়না। বারবার আমাদের সংসদে আহ্বান জানালেও বক্তব্য সীমিত করে দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী খুলনা ও চট্টগ্রামে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন এ অভিযোগ করে মওদুদ আরো বলেন, সমস্ত প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ গতকাল আমি শিবগঞ্জে এক সভা করতে যাওয়ায় সেখানে আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু এরপরও জনগণ সে সভায় স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। কারণ জনগণ বুঝে গেছে এ সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। নির্দলীয় সরকার শুধু ১১ জন উপদেষ্টা নয়, প্রধান উপদেষ্টা নয়, পুলিশসহ প্রশাসনও নিরপেক্ষ হতে হবে। কোনোক্রমেই এ ব্যাপারে ছাড় দেয়া হবে না। আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে কোনো আপোস করবেন না।