নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবিতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র ফয়সাল বেপারীকে অপহরন করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন অপহৃতার পিতা হাকিম বেপারী।
পুলিশ ও অপহৃতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বার্থী বাজারের রড সিমেন্টের ব্যবসায়ী ও ইল্লা গ্রামের বাসিন্দা হাকিম বেপারীর পুত্র ও বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ফয়সাল বেপারীর (১৪) সাথে গত ৪ মাস পূর্বে গভীর সখ্যতা গড়ে ওঠে পাশ্ববর্তী পশ্চিম বাউরগাতি গ্রামের সোহরাব ঘরামীর পুত্র সুজন ঘরামীর (২৫)। অপহৃত স্কুল ছাত্র ফয়সালের পিতা হাকিম বেপারী অভিযোগ করেন, গত ২১ জানুয়ারি সকালে সুজন তার পুত্র ফয়সালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ফয়সালের আর খোঁজ মেলেনি। পরবর্তীতে একাধিকবার সুজনের পরিবারের কাছে ধর্না দিলেও তারা কিছুই জানেন না বলে জানিয়ে দেন। এরইমধ্যে গত শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে তার (অপহৃতার পিতা হাকিমের) ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে সুজন পরিচয় দিয়ে ছেলেকে ফিরে পেতে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। টাকা না দিলে ফয়সালকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। মুক্তিপন দাবির পরে অপহৃত স্কুল ছাত্রের পিতা হাকিম বেপারী ওইদিন রাতে গৌরনদী থানায় সুজনকে প্রধান করে আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুজনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সুজনের পিতা সোহরাব ঘরামীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) আবুল কালাম মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহৃতা স্কুল ছাত্রকে উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি গৌরনদীর টরকী বন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রানা দাসকে অপহরনের পর হত্যা করে পাচারকারীরা। অপহরনের ছয়দিন পর রানা দাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।