বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসকদের সাথে রোগীর স্বজনদের সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে মৃত রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতালের কতিপয় ইর্ন্টানী চিকিৎসকদের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার চিকিৎসকসহ সাতজন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় মৃত রোগীর দু’ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার রাতে অনিদৃষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকেরা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃত রোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানার মুক্তাগর গ্রামের জয়নাল মোল্লা (৭০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সোমবার দুপুর বারোটার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। তিনি হাসপাতালের চতুর্থ তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের ৩নং ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল তিনটার দিকে মারা যায়। এ ঘটনায় মৃত জয়নালের স্বজনেরা চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুললে হাসপাতালে কর্মরত ইর্ন্টানী চিকিৎসক ডাঃ নাহিদুল মোর্শেদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মৃত জয়নালের স্বজনেরা ডাঃ নাহিদুল মোর্শেদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ খবর মুহুর্তের মধ্যে পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পরলে অন্যান্য ইর্ন্টানী চিকিৎসকেরা হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দিয়ে মৃত রোগীর স্বজনদের খুঁজতে থাকে। এসময় পুরো হাসপাতাল জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পরে। মৃত রোগীর স্বজনদের হামলায় ডাঃ নাহিদুল মোর্শেদ, ডাঃ সুচক, ডাঃ তন্ময়, ডাঃ পার্থ, অফিস সহকারি হাসান মাহমুদ আহত হয়।

অপরদিকে ইর্ন্টানী চিকিৎসকেরা মৃত জয়নালের পুত্র পান্না মোল্লা ও সুমন মোল্লাকে আটক করে বেধম মারধর করে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। বিকেল তিনটা থেকে ৫ টা পর্যন্ত হাসপাতালের প্রধান গেট বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে অনিদৃষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা করেছেন হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকেরা।