“মরার আগে পুতের হত্যাকারীগো বিচার দেইখা

গৌরনদী উপজেলার হরিসেনা গ্রামের বুলেটের পিতা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রহমতউল্লাহ খলিফা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে হত্যাকারীরা যদি বিনা বিচারে পার পেয়ে যায়, তাহলে দেশে আইন আদালতের প্রয়োজন আছে কি? নাকি টাকা ও ক্ষমতার কাছে দেশের সাধারন মানুষগুলো এখনো জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিগত বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের প্রথমাধ্যে (২০০১ সালের ২০ নভেম্বর) বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপনের ক্যাডার বাহিনী গৌরনদী বন্দরের খালপাড়ে বসে নির্মম নির্যাতন চালায় সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বুলেটের ওপর। হাসপাতালে ছয়দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৬ নভেম্বর সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন ছাত্রলীগ নেতা বুলেট। তৎকালীন সময়ে এ ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা বুলেটের পিতা রহমত উল্লাহ খলিফা বাদি হয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ১৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন সময়ে স্থানীয় বিএনপি দলীয় সাংসদের চাপের মুখে মামলার এস.আই সরদার ইউনুস আলী ঢিমেতালে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ফলে কয়েকদিন যেতে না যেতেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে নিহত ছাত্রলীগ নেতার পিতা তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কাছে পুত্র হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেও ব্যর্থ হন।
অতিসম্প্রতি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের ঘোষনা অনুযায়ী, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের ধামাচাপা পরা সকল হত্যা মামলা পূনঃরুজ্জীবিত করা হবে। এ খবর শুনে পুত্র হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছেন নিহত ছাত্রলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম বুলেটের পিতা রহমত উল্লাহ খলিফা।
দেশের চলমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আবেদনে তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রির কাছে বিগত চারদলীয় জোট ক্যাডারদের নির্মম নির্যাতনে নিহত তার পুত্রের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।