মাত্র ১৫ দিনে ইংরেজী শেখার বিশ্ব শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পন্থা আবিষ্কার করেছেন বরিশালের ভাষা বিজ্ঞানী সরোয়ার

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ইংরেজী ভাষাসহ নানা ভাষা শেখার বিশ্ব শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পন্থা আবিস্কার করেছেন বরিশালের ভাষা বিজ্ঞানী সৈয়দ শাহ মোঃ ছরোয়ার (৪৮)। তিনি ভাষা শিক্ষার এমন একটি ডায়াগ্রাম আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে মাত্র ১৫ দিনে ইংরেজী, আরবী ভাষাসহ সব ভাষাই আয়াত্তে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে কয়েকটি বই ও লিখেছেন তিনি। সরোয়ার তার এ পদ্ধতিকে ভাষা শেখার বিশ্ব শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পন্থা বলে দাবী করেন। কেউ কেউ বলছেন ভাষা শিক্ষার জাদুকরী পদ্ধতি।

গত ২৩ ফেব্র“য়ারী রাতে গৌরনদীর কাশেমবাদ মাদ্রাসায় বসে কথা হয় ভাষা বিজ্ঞানী সরোয়ারের সাথে। সেখানে ইংরেজী শিক্ষার ১০ দিনের একটি ট্রেনিং কোর্স ওইদিন সমাপ্ত হয়েছে। ওই মাদ্রসার ৭ম শ্রেনীর সুমাইয়া, ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল¬াহ, ওবায়দুর রহমান,আলীম প্রথম বর্ষের ছাত্রী নিশাত কোর্স সমাপ্ত করেছেন। তারা এখন ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী। নিশাত জানায়, ১০দিনে সে যা শিখেছে ১০ বছরে তা শিখতে পারিনি। সুমাইয়া জানায়,আমাদের যেভাবে শিক্ষা প্রদান করা হযেছে, মনে হয় কোন যাদুকরি বিদ্যা শিখেছি। কুলসুম ১ মিনিটে বলতে পারে ১০০টি ভার্বশব্দ। ভাষা বিজ্ঞানী  সরোয়ার  চ্যালেন্স এর সাথে এ প্রতিবেদককে জানান, হাজার বার পড়েও যা মনে রাখা যায়না তার আবি®কৃত পদ্ধতির মাধ্যমে মাত্র কয়েক মিনিটে তা আয়াত্ব করা যাবে এবং কোনদিন তা কেউ ভূলে যাবেনা। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত গবেষনা করে ইংরেজী, আরবি, হিন্দি, ফাসী ভাষা শেখার ১১টি পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন গবেষক শাহ মোঃ সরোয়ার। নানা প্রতিকুলতার কারণে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারছেননা তিনি। তবে সরকারি সহয়তা পেলে তার এ পদ্ধতি সারা বিশ্বে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে নুতন দ্বার উন্নোচন করবে বলে তার ধারনা। লোকজনদের মাঝে বিশ্বাষ জন্মানোর জন্য তিনি সর্ব প্রথমে তার আবিষ্কারের প্রতিফলন ঘটান তার নিজ পরিবার মধ্যে। তার আবিস্কৃত এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ১টি মাত্র ভার্ব শব্দ দ্বারা ইংরেজিতে ২৭৬ রকম কথা বলতে পারেন ঢাকার বনশ্রী সভরিন স্কুলে তার ৫ম শ্রেনীতে পড়–য়া পুত্র সৈয়দ মিনহাজুল বাহার (১০) ও ৭ম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা সুমাইয়া নাজনিন (১২)। নিজ উদ্যোগে প্রচারনা চালিয়ে বিভিন্ন সেমিনারে ২ সন্তানকে উপস্থাপন করেন তিনি। সরোয়ার জানান, এক সময় মুখে বললে মানুষ বিশ্বাষ করতো না। এ কারনে আমার  সন্তানদের প্রশিক্ষন দিয়ে বা¯তব বিষয়টি দেখানোর জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু প্রদর্শনীর ববস্থা করি। তার মতে, এ পদ্ধতিতে মাত্র ১৫ দিনে যতটুকু ইংরেজী ও আরবী শেখা যায়, পৃথিবীর অন্য কোন পদ্ধতিতে তা ১৫ বছরেও শেখা যায়না। কেবল পড়িয়ে দেয়াই নয় , এ পদ্ধতিতে ইংরেজী ১২ প্রকার টেন্সের ফরম অনুসারে অতিত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালের সব কথা বলা যায় মনের ইচ্ছানুসারে। শিশু মিনহাজ ও সুমাইয়াকে নিয়ে বিশ্বের যে কোন ইংরেজী জানা লোকের সাথে এখন চ্যাল্ঞ্চে করতে প্রস্তুত তার গর্র্বিত পিতা ভাষা বিজ্ঞানী সরোয়ার। তার সন্তানরা ১ মিনিটে যত ইংরেজী শব্দ বলতে পারবে তা বিশ্বের অন্য কেউ তা পারবেনা বলে তিনি দাবী করেন। তার এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্বের সব ভাষাই সহজে আয়াত্ব করা যায়। ১২ টি টেন্সের সাথে ৫টি সাবজেক্ট বসিয়ে লুডুর গুটি দিয়ে দারুন একটি খেলাও আবিষ্কার করেছেন তিনি। গুটির নাম্বার অনুসারে ঢোকানো হয়েছে
বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষের ৫টি প্রনাউন কোর্ড। ইচ্ছে করলে কোর্ড নাম্বার অনুসারে গোপন কথাও বলা যাবে, যা এ পদ্ধতির লোক ছাড়া অন্যরা বুঝবেনা।
তিনি ১৩টি হাতের চিত্র একত্র করে এমন একটি ডায়াগ্রাম তৈরী করেছেন যার মধ্যে ১টি ভার্ব শব্দ ছুড়ে দিলে ২৭৬ রকম বাক্য তৈরী হয়ে যায়। আর এর সাথে যদি ১টি হাতের চিত্র সংযোগ করা হয় তাহলে ১৩৮০ রকমথা তৈরী হবে। এর সাথে যদি মাত্র ১টি শব্দ (হড়ঃ) যোগ করা হয় তখন ২৭৬০ রকম বাক্য তৈরী হয়ে অটোমেটিক মস্তিষ্কে ঢুকে যাবে। আর প্রচলিত পদ্ধতিতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৫০ বছর। তার লেখা ” ইংরেজী শেখার বিশ্ব শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পন্থা” বইটি প্রকাশিত হয়েছে। মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। মাত্র ২ সপ্তাহে ইংরেজী শিক্ষা , ২০০ ভার্ব চিরদিন মনে রাখার উপায় ডিকসনারী ডাইজেষ্ট, আরবি শিক্ষা,প্রভৃতি বই পড়লেই সহজে ইংরেজী শেখা সম্ভব বলে তিনি জানান। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিরাইল গ্রামের মাওলানা সৈয়দ ইয়াকুব আলীর পুত্র সৈয়দ শাহ মোঃ সরোয়ার। বর্তমানে তিনি ঢাকার রামপুরায় বসবাস করেন।