আগৈলঝাড়ায় খালের দু’পাশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ – চাষাবাদ ব্যাহত

ওমর আলী সানি, আগৈলঝাড়া ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন খালের দু’পাশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ, খালগুলোতে  ব্যবসায়ীরা মাটির হাড়ি ও ময়লা ফেলে এবং পলি পরে খাল ভরাট হওয়ায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা। এ কারনে উপজেলার চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পানি সেচে জন্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে এক কৃষক আসাদুল হক। বাজার মিষ্টি ব্যবসায়ী আশুতোষ মন্ড ও মালেক হাওলাদারের বিরুদ্বে এ অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাহী অফিসার উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দাখিল জন্য নিদের্শ দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের খালটির দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এসব স্থাপনা নির্মাণে সরকারীভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও প্রভাব খাটিয়ে আগৈলঝাড়া বাজারে বিভিন্ন স্থানে স্থাপনার নির্মাণ করছেন। বর্তমান সরকারের কাছে, উপজেলার কৃষক ও জনসাধারণ ভরাট খালগুলো খনন করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলায় চলতি বছর ৯ হাজার ৮’শ ১৮ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফসল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার মে. টন চাল। তবে সেচ সংকটের কারনে উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে ৩০ হাজার ৯’শ ৬৯ মে.টন। খালগুলোর দু’পাশ দখল ও খালে পলি পরে ভরাট হওয়ায় পানি সল্পতার কারণে স্বাভাবিক চাষাবাদ ব্যহত হওয়ায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের কৃষকের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক কৃষি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসে অনেক আগেই প্রকল্প দাখিল করলেও আজও ওই প্রকল্প ফাইল বন্দি রয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জনসাধারণ চাষাবাদে ঠিকমত সেচ দিতে না পারায় সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অনেকস্থানে খাল শুকিয়ে যাওয়ায় আগামী চৈত্র মাসে ওইসব খালে কোন পানি থাকবেনা । ফলে বর্তমান ইরি-বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য পানির সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। উপজেলার অনেকস্থানে খালের দু’পাশে দোকানঘর তুলে, দোকানের ময়লা-আবর্জনা ফেলায় খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার তাজুল ইসলাম জানান, কৃষি নির্ভর আগৈলঝাড়ায় খালগুলো পুনঃখননের উল্লেখযোগ্য কোন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। তাই কৃষকরা বছরের পর বছর পানি সেচের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে। উপজেলার খাল গুলো পুনঃখনন অতিগুরুত্ব বলে মনে করেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম তালুকদার জানান, উপজেলার গুরুত্ব পূর্ন ভরাট হয়ে যাওয়া খাল গুলো অগ্রধিকার ভিত্তিতে খনন করা দরকার বলে তিনি মনে করেন। কিছুদিন পূর্বে  ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রালয়ের সিডিএমপি’র একটি টিম আগৈলঝাড়া ঘুরে গেছে। তখন গুরুত্ব পূর্ন খাল গুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী বিরুদ্বে অভিযোগে কথা শিকার করে বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দাখিল  জন্য বলা হয়েছে।

আগৈলঝাড়ায় খালের দু’পাশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ - চাষাবাদ ব্যাহত