দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পালাতে গিয়ে শ্বশুরের হাতে ধরা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পালাতে গিয়ে অবশেষে প্রথম স্ত্রীর বাবার (শ্বশুরের) হাতে ধরা পরেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চরগাধাতলী মহল্লার কথিত সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী তারেক হোসেন সুমন। দ্বিতীয় বিয়ের কথা ফাঁস হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম স্ত্রীর বাবা ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে গতকাল সোমবার প্রতারনার অভিযোগ এনে সুমন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা সুলতানার বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গৌরনদী থানায় বসে সুমনের প্রথম স্ত্রী লাইজু আক্তার লাবনী (২৮) ও লাইজুর বাবা পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম জানায় সুমনের নানা অপর্কমের কাহিনী। এসময় লাইজুর সাথে ছিলো তার পুত্র সাদ (৮) ও কন্যা সুমাইয়া (৬)।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৪ সনে লাইজুর সাথে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় লাইজুর বাবা তার সাধ্যমতো সুমনকে উপটৌকন প্রদান করেন। লাইজু অভিযোগ করেন, তার স্বামী ঢাকায় ভিজিডিং কার্ড তৈরীর কাজ করতো। সে নিজেকে মানবাধিকার কর্মী ও কতিথ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নস্থানে ভয়ভীতি দেখিয়ে বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এর প্রতিবাদ করায় তাকে প্রায়ই শারিরিক নির্যাতন করা হতো। এরইমধ্যে লম্পট সুমন গোপনে ২০০৮ সনে কুমিল্ল¬ার মুরাদ নগর উপজেলার কোড়াখাল গ্রামের ওয়াজেদ আলীর কন্যা সাবিনা সুলতানাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। গৌরনদী পৌরসভার চরগাধাতলী মহল্ল¬ার অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আবুল হোসেনের কনিষ্ঠ পুত্র তারেক হোসেন সুমন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত সুমন নিজেকে একজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে মহাদাপট নিয়েই চলতো। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠছিলো স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন। সুমন নিজেকে জাহির করতে ঈদ পার্বনে রাজনৈতিক নেতাদের ন্যায় রাস্তায় রাস্তায় পোষ্টার, ব্যানার টাঙ্গাতেও সে ভুল করেনি। সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০১০ সনে সমুনের বাড়ির পাশের একটি কালী মন্দিরের দেয়াল নির্মানকে কেন্দ্র করে সে ওই মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক ও গৌরনদী বন্দরের পাদুকা ব্যবসায়ী সুবাস দেবনাথকে পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে।

সুমনের প্রথম শ্বশুড় পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম অভিযোগ করেন, অতিসম্প্রতি ঢাকার মহাম্মাদপুর এলাকায় সুমনের হোন্ডার পিছনে অপর এক যুবতীকে দেখতে পেয়ে তার সন্দেহ হয়। ওইসময় তিনি তাদের পিছু নেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সুমন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনাকে পথিমধ্যে নামিয়ে দিয়ে কৌশলে সে সটকে পরে। পরবর্তীতে সাবিনাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তাদের বিয়ের ঘটনা ফাঁস করে দেয়।

দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পালাতে গিয়ে শ্বশুরের হাতে ধরা