পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া – ভারতে পাচার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের আরো নয়দিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে ইলিশের অভ্যয়ারন্য বলেখ্যাত দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ মোকামগুলোতে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে। যাওবা খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তার দাম হাকানো হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া। গতকাল শুক্রবার বরিশালের বিভিন্ন ইলিশের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা ইলিশ মোকামে ঘুরে বেড়ালেও মোকামের মালিকরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে বরিশালের শৌখিন ইলিশ ক্রেতারা খুচরা বাজারের দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন।

নগরীর কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে ইলিশের প্রতি বাঙালির অমোঘ আকর্ষণের সুযোগ নিতে একটুও কালক্ষেপণ করেননি সুযোগ সন্ধানী মাছ ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে শুধু পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে এখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ইলিশের দাম। ক্ষেত্র ভেদে ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বরিশাল নগরীর প্রধান কাঁচা বাজার পোর্ট রোডে প্রতি জোরা ইলিশ (মধ্যম সাইজের) বিক্রি হতে দেখা গেছে ৫ হাজার টাকায়। ইলিশ বিক্রেতা আব্দুল গণি জানান, ওই এক জোড়া ইলিশের ওজন তিন কেজি দু’শ গ্রাম। বছরের অন্যান্য দিনে ইলিশ মাছ খাওয়া হোক কিংবা নাই হোক, পহেলা বৈশাখের দিন সকালে এক টুকরো ইলিশ মাছ চাই-ই চাই। পহেলা বৈশাখের সকালে পান্তা ভাতের সাথে এক টুকরো ইলিশ পেতে শৌখিন ক্রেতারাও চড়ামূল্যে ইলিশ ক্রয় করে নিচ্ছেন।

ইলিশ মাছ বিক্রেতারা জানিয়েছেন. শুধুমাত্র পহেলা বৈশাখের কারণেই ইলিশের দাম আরো বাড়তে পারে। শৌখিন ইলিশ ক্রেতা শাহিন হাফিজ বলেন, পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী পহেলা বৈশাখের দিন সকালে ইলিশ মাছের চাহিদা মেটাতে আমি ছোট আকারের এক হালি ইলিশ মাছ দুই হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। যার পূর্বের মূল্যছিলো শুধুমাত্র ৫’শ টাকা।

পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামের স্বত্তাধীকারি আলী আকবর বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে যে পরিমান ইলিশ মাছের চাহিদা রয়েছে তা জেলেরা নদী থেকে ধরতে পারছেন না। তাই এবছর ইলিশের দামও একটু চড়া। তবে অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, নদী থেকে জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরলেও সব মাছ মোকামে আনেন না। নদী থেকেই একটি চক্রের মাধ্যমে মোকামের চেয়ে বেশিমূল্যে ওই মাছ ভারতে পাচার করার জন্য বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের মোকামগুলোতে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে।