গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় সরকারি খাল দখল করে পাকাঘর নির্মাণ

দেলোয়ার সেরনিয়াবাত ॥ বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার আশোকাঠী-ধামুড়া খালের দক্ষিণ বিজয়পুর নামকস্থানের সরকারি খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মান করছেন এক বিএনপি নেত্রী। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মান কাজের বাঁধা প্রদান করেন ইউএনও’র প্রতিনিধি দল।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার দলীয় কতিপয় প্রভাবশালী নেতাকে ম্যানেজ করে বিএনপি নেত্রী নিলুফা ইয়াসমিন আশোকাঠী-ধামুড়া খালের দক্ষিণ বিজয়পুর নামকস্থানের সরকারি খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মানের কাজ শুরু করেছেন। একই ভাবে  আগৈলঝাড়ার বাকাল ইউনিয়নে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি খালের ওপর পাকাঘর নির্মাণ করছে এক প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা। পাকাঘর নির্মাণ করার কারণে খাল দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকায় ইরি-বোরো ধান চাষাবাদে প্রচন্ড বিঘœ ঘটছে। এ ঘটনায় কৃষকদের পক্ষে উৎপল দাস উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় তহশীলদারকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের বাকাল গ্রামের ৮৬ নং মৌজায় ২৪০৫ নং দাগের সরকারি খাল দখল করে পাকাঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন বাকাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিএইচপি একাডেমীর শিক্ষক মোঃ অলিউল্লা সরদার। ওই খালটি এলাকার হাজার হাজার একর জমিতে ধান চাষের জন্য পানি সেচের একমাত্র মাধ্যম। খালের ওপরে পাকাঘর নির্মাণ করায় খালটি বন্ধ হয়ে পানি চলাচল বন্ধ হওয়ার পথে। ইরিধানসহ বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারবেনা কৃষক। ওই এলাকার জনসাধারণ ইরিধানের ওপর নির্ভরশীল। পানি সেচের অভাবে ফসল ফলাতে না পারলে এলাকার কৃষকদের অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে ওই এলাকার কৃষকেরা বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপুল দাসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা সত্বেও তিনি রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। উপায়অন্থর না পেয়ে ওই এলাকার কৃষকদের পক্ষে উৎপল দাস উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোতুর্জা খান ও  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল কালাম তালুকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।