বরিশালে পুত্রের জামিন না হওয়ায় স্টক করে পিতার মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ হরতালে গাড়ি ভাংচুর মামলায় আটকের এক মাসেও জামিন না হওয়ার শোকে স্টক করে মারা গেছেন মহানগর যুবদলের সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক এ.কে আবু কায়সার নিশাদের পিতা গিয়াস উদ্দিন (৬৪)। রবিবার দুপুরে আদালত চত্বর থেকে বাংলা বাজারস্থ বাসায় ফিরে যাওয়ার পথেই সে স্টক করে মারা যায়।

জানা গেছে, গত ৮ মার্চ বিএনপির ডাকা হরতালের সময় জেলা বিএনপির মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনসহ ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। গ্রেফতার করা হয় যুবদল নেতা নিশাদসহ সাতজন। পরে তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুর, পুলিশী কাজে বাঁধা সহ ৪টি মামলা দেয়া হয়। ওই মামলায় এক মাসেও জামিন হয়নি নিশাদের। গতকাল রবিবার ছিলো নিশাদের জামিন আবেদনের শুনানি। এ সময় নিশাদের পিতা গিয়াস উদ্দিন ছেলের জামিন পাওয়ার আশায় আদালত পাড়ায় ছিলেন।  আদালত ৪টি মামলায় জামিন না মঞ্জুর করেন। ছেলের জামিন না হওয়ার খবরে পিতা আদালত ত্যাগ করে বাসায় ফেরার পথে স্টক করে মারা যায়।

এ ব্যাপারে নিশাদের আইনজীবী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের সাবেক স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু বলেন, বিচারক তার বিচারিক দৃষ্টিতে জামিন দেয়নি। তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার নিশাদ। যে মামলায় নিশাদকে আটক করা হয়েছে ওই মামলার এজহারে নিশাদের নাম নেই। এমনকি তাকে সন্দেহও করা হয়নি।