ঢাকা-বরিশাল রুটের যাত্রীদের স্বস্তি : আকাশে এয়ারক্রাফট ॥ নদীতে বে-ক্রুজার

প্রেমানন্দ ঘরামী ॥  আকাশ পথে মাত্র ৩০ মিনিটে ও নদী পথে মাত্র ৪ ঘন্টায় ঢাকা থেকে বরিশাল কিংবা বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়ার সুযোগ পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঢাকা-বরিশাল রুটের যাত্রীরা। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আকাশ পথে বেসরকারি বিমান এয়ারক্রাফট ও নৌপথে বে-ক্রুজার সার্ভিস চালু হওয়ার পর সার্ভিস দু’টিতে ইতোমধ্যেই যাত্রীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফলে এখন লঞ্চ মালিকদের জিম্মিদশা থেকে শৌখিন ও ভ্রমন পিপাসু যাত্রীরা মুক্ত হতে পেরেছেন বলেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

সূত্রমতে, বেসরকারি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ৬৬ সিটের একটি এয়ারক্রাফট’র মাধ্যমে গত ২৫ এপ্রিল ঢাকা-বরিশাল রুটে তাদের ফ্লাইট চালু করেছে। উদ্বোধনী ফ্লাইটে সবগুলো আসনই ছিল পরিপূর্ণ। কোম্পানির ম্যানেজার আবু মুসা জানান, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ শিঘ্রই এ রুটে ৩৭ সিটের আরো একটি এয়ারক্রাফট যুক্ত করবে। এয়ারক্রাফটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে যাত্রী প্রতি তিন হাজার টাকা। আর এয়ারক্রাফটে ঢাকা থেকে বরিশাল পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট।
অপরদিকে, ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে গত ২৭ এপ্রিল একটি বেসরকারি কোম্পানী বে-ক্রুজার সার্ভিস চালু করেছে। দিনের বেলায় ভ্রমন পিপাসু ও শৌখিন ব্যক্তিদের জন্য এ সার্ভিসে শ্রেনী ভেদে ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা। এতে বরিশাল থেকে ঢাকা পৌঁছতে সর্ব্বোচ্চ সময় লাগে মাত্র ৪ ঘন্টা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি সার্ভিস চালু হওয়ার পর যাত্রীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

একাধিক যাত্রীরা জানিয়েছেন, এ দু’টি সার্ভিস চালুর পূর্বে তাদের বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিলো বেসরকারি কোম্পানীর লঞ্চগুলো। এসব লঞ্চ বরিশাল ও ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যায় রওনা দিয়ে পরেরদিন গন্তব্যে পৌঁছে। দীর্ঘ সময় আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চেয়েও লঞ্চগুলোর টিকিট পাওয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার। তার ওপর বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময় থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৩৮ রুটে চলাচলকারী লঞ্চের মালিকরা যাত্রীদের জিম্মি করতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করে। এ অবস্থায় আকাশ পথে বিমান সার্ভিস ও নৌপথে বে-ক্রুজার (আধুনিক নৌ-যান) উদ্বোধন হওয়ায় লঞ্চ মালিকদের জিম্মিদশা থেকে যাত্রীরা এখন অনেকটাই মুক্তি পাবেন।