Menu Close

বরিশালে হেলে পরেছে পঞ্চম তলার একটি ভবন

এম. মিরাজ হোসাইন, বরিশাল ॥  বরিশাল নগরীর হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন এলাকার ‘শেখ নিবাস’ নামের পঞ্চম তলার একটি ভবন আজ রবিবার দুপুরে আকস্মিকভাবে হেলে পরেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন, জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল আলমসহ ফায়ার সার্ভিসের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কায় নেতৃবৃন্দরা ওই ভবনের সকল মালামাল সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়। পরে ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়ারা মালামাল সরিয়ে নেয়ার পর ওইদিন রাতে ভবনটি সীলগালা করে দিয়েছেন বিসিসি’র ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইসরাইল হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ছয়মাস পূর্বে পঞ্চমতলার এ ভবনটি নির্মান করেন জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। পর্যায়ক্রমে ওই ভবনের বেশ কয়েকটি ফ্লাট বিভিন্ন এনজিও’র কাছে ভাড়া দেয়া হয়। ওই ভবনে অফিসসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়াও ছিলো। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে আকস্মিক ভাবে পঞ্চম তলার ভবনটি পার্শ্ববতী একটি সপ্তম তলা ভবনের সাথে হেলে পরে। তবে ভবনটি হেলে পড়ার কথা অস্বীকার করে ভবন মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিসিসি যে নকশা দিয়েছে সে অনুযায়ীই বাঁকা করে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে।

সূত্রমতে, ২০১২ সনের ১৫ অক্টোবর এ বহুতল ভবনের তৃতীয় তলা নির্মাণের সময় ফাঁটল দেখা দেয়ার পর ভবন মালিক তা ধামাচাপা দিয়ে পঞ্চম তলা ভবন নির্মাণ করেন। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় যথাযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে ভবন নির্মাণ করা হলে আজ আর হেলে পড়তো না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবনের পাশে একটি পুকুর ছিলো। এছাড়াও ভবন নির্মাণের সময় তৃতীয় তলায় ফাঁটল দেখা দিলেও ভবনের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন তার ওপর বহুতল ভবন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভবন হেলে পড়ার পর ধবসে পড়ার আশংকায় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক ভবনে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মাতৃছায়া বীমাসহ বিভিন্ন অফিস ও বাসার লোকজন দ্রুত ভবন থেকে নেমে পড়ে। এরপর তারা তাদের মালামাল নামানো শুরু করে। পঞ্চম তলার ভবনটি হেলে পড়ায় পাশ্ববর্তী সপ্তমতলা ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

খবর পেয়ে বিকেল চারটায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মেয়র হিরন সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিষ্ট্রেট ইসরাইল হোসেনকে ভবনটি সিলগালা করে দেয়ার নির্দেশ দেন। বিসিসি’র ম্যাজিষ্ট্রেট ইসরাইল হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে ভবনে বসবাসরতদের প্রয়োজনীয় মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। মালামাল সরিয়ে নেয়ার পর রাত আটটার দিকে ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।