ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঘূর্নিঝড় মহাসেন প্রতিরোধে উপকুলীয় ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করে প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছে। সোমবার ও বুধবার দু’দফায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী সভা করা হয়েছে। চারটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতে জরুরী নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলোতে ৪ নম্বর সতর্কতা ঘোষনায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক সিকদার জানান, তারা মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরী সভা করে সাইক্লোন সেল্টার, সরকারী ভবন, গ্রাম পর্যায়ের স্কুল ভবন গুলো প্রস্তুত রেখে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেলা পর্যায়ে বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বস্ব কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ন এলাকা হিসেবে খ্যাত কাঠালিয়ার আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদ আখতার হোসেন নিজাম মীরবহর জানান, জেলার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ন আমুয়া বন্দর ও তার আশপাশ এলাকাগুলোর নাগরিকদেরকে সতর্ক থাকতে বিভিন্ন মসজিদের মাধ্যমে ব্যাপক মাইকিং করা হয়েছে। মাছ ধরার ট্টলারগুলোকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ইতিমধ্যে বৈশাখিয়া গ্রামে একটি মাটির কিল্লাসহ সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাখাওয়াত হোসেনকে ঘূর্নিঝড় মহাসেন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন এরুপ প্রশ্নের জবাব সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। এর বেশী জানার প্রয়োজনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরে জানুন।
এদিকে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে ঘূর্নিঝড় মহাসেন মোকাবেলায় জেলার সকল নাগরিককে সচেতন থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে সিডরের মত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না ঘটে।