ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ রাজাপুরের সাতুরিয়ায় শনিবার রাতে বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম গ্র“পের সমর্থকদের ওপর শাহজাহান ওমর গ্র“পের ক্যাডারদের হামলার সময় গণপিটুনিতে আহত ওমর গ্র“পের ক্যাডার সোহেল ওরফে ডাকু সোহেল মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে বরিশাল শেবাচিম থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান বলে পুলিশ জানায়। এ সময় তিনি গ্রেফতার অবস্থায় ছিলেন।
এলাকাবাসি জানায়, শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে সাতুরিয়া স্কুলের সামনে চায়ের দোকানে বসে থাকা রেজাউল করিম সমর্থকদের ওপর ওমর গ্র“পের ক্যাডার নিহত সোহেল ও নান্নুর নেতৃত্বে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ফরহাদ মিয়ার চায়ের দোকানে ঢুকেও ভাংচুর চালালে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারী ওমর গ্র“পের ক্যাডারদের ওপর চড়াও হয়। হামলায় নান্নুর সাথে স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ফয়সাল আহমেদ হিমেল, নিহত ডাকু সোহেল, জাবির মিয়া, সোহাগ কাজি, কাজী এমদাদ, রাসেল, ইয়াসিন, রাহাত ও লিটন অংশ নেয়। এ সময় এলাকাবাসির ধাওয়া খেয়ে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সোহেল ধরা পড়ে এলাকাবাসির হাতে। এলাকাবাসি এ সময় সোহেলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
রাজাপুরের ওসি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, শেবাচিমের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে পথিমধ্যে তার মত্যু ঘটে। পরে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঢাকায় তার ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান ওসি।
এ ব্যাপারে লন্ডনে অবস্থানরত ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর জানায়, সংঘর্ষকারীরা এলাকায় অস্তিত্ব রক্ষায় হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় কে বড় নেতা হবেন এরুপ মানসিকতায় হামলা ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানাগেছে। তবে হামলায় নিহত সোহেলের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী করেন তিনি।