বরিশালে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও মেজর জলিল সেতুতে ধ্বস

বিশেষ প্রতিনিধি ॥  ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার দোয়ারিকা নামকস্থানের সন্ধ্যা নদীর ওপরের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও উজিরপুরের শিকারপুর নামকস্থানের মেজর জলিল সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়ক ধ্বসে পরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

উভয় সেতুর এ্যাপ্রোচ সড়কের ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ধ্বসে পরায় মহাসড়কে যানচলাচলের ক্ষেত্রে হুমকির মুখে পরেছে। স্থানীয়রা যেকোন সময় সেতু দুটিতেই বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন।

জানা গেছে, উভয় সেতু সংলগ্ন ৩০ গজ দূরত্বস্থানের এ্যাপোচ সড়কের প্রায় ৫০ মিটার এলাকা বৃহস্পতিবার রাতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে ধ্বসে পরেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ধ্বসে পড়াস্থানে ইটের ব্যারিকেট দিয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারিকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর পাদদেশে গ্যাংওয়ে ভেঙ্গে প্রায় ২০০ ফুট এ্যাপোচ সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সেতুটি ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ্যাপ্রোচ সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ্ মোহাম্মদ শামস্ মোকাদ্দেস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বৃষ্টির সাথে শুরু হয় দমকা হাওয়া। তীব্র বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের ফলে উভয় সেতুর ৫০ মিটার এ্যাপ্রোচ সড়ক দেবে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে এ্যাপ্রোচ সড়ক ধ্বসে পরেছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি আরো বলেন, এ্যাপ্রোচ সড়ক ধ্বসের কোনো প্রভাব যানবাহন চলাচলে পরবে না। খুব শীঘ্রই সেতু দু’টির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এছাড়াও মহাসেনের প্রভাবে দু’দিনের অবিরাম বর্ষণে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড-বন্দর সড়কের পৌরসভার সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সম্মুখের জনগুরুতপূর্ণ সড়কসহ পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লার একটি সড়ক বির্ধ্বস্ত হয়েছে।