তপন বসু, আগৈলঝাড়া ॥ ঘুষখোর পুলিশ অফিসারকে মারধর করে হ্যান্ডকাপসহ এক মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যাওয়ার চারদিন পরেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার কিংবা হ্যান্ডকাফটি উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়ার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানার একাধিক পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের আকু খানের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস খানকে গাঁজা বিক্রির সময় গত শনিবার রাতে গুপ্তেরহাট এলাকায় বসে গ্রেফতার করেন থানার এএসআই নুরুল ইসলাম। তিনি জুলহাসকে আটকের পর তার হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন। এ সময় জুলহাসের দেহ তল্লাশী করে মানি ব্যাগে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এএসআই নুরুল ইসলাম। একপর্যায়ে তিনি গাঁজা ব্যবসায়ী জুলহাসকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। জুলহাস টাকা দেয়ার ছলনায় কৌশলে পাশের একটি নির্জনস্থানে এএসআই নুরুল ইসলামকে নিয়ে যায়।
সেখানে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থায়ই জুলহাস ও তার সহযোগীরা এএসআই নুরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে এএসআই নুরুল তার পরিহিত জুতা পর্যন্ত ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত এএসআই নুরুল ইসলাম হামলা ও মারধরের কথা অস্বীকার করলেও মানিব্যাগ ও মোবাইল ফেলে রেখে মাদক ব্যবসায়ী জুলহাস পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ আসামি জুলহাসকে গ্রেফতার কিংবা হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, এএসআই নুরুল ইসলাম গৌরনদী থানায় কর্মরত থাকাকালীন ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে নিরিহ জনগনকে অহেতুক হয়রানি করার অভিযোগে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর পরই তাকে আগৈলঝাড়া থানায় বদলী করা হয়।