বাকেরগঞ্জের জনতা বাজারে লিটন বাহিনীর ত্রাস!

দানিসুর রহমান লিমন, বাকেরগঞ্জ ॥  বাকেরগঞ্জের রঘুনাথপুরের জনতা বাজারে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ লিটন বাহিনীর একের পর ত্রাস অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সে এলাকায় একের পর ত্রাস করে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের চৌদ্দপুরিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ খানের বখাটে পুত্র লিটন খান (৩৫) ছোটবেলা থেকেই বেপরোয়াভাবে জীবন-যাপন করে আসছে। স্কুল জীবনে সে সিগারেট, গাঁজা সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরে। স্থানীয়দের অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের আশির্বাদে লিটন ছিচঁকে চোর থেকে রাতারাতি সন্ত্রাসীদের নেতা বনে যান। এমন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেন না। জনতা বাজারে খান ফার্মেসী’র অন্তরালে লিটন একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ওই ফার্মেসীতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আড্ডা বসে। এছাড়াও ওই ফার্মেসী থেকে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্পটে মাদক বিক্রি করা হয় বলে তাদের অভিযোগ। তারা আরও জানান, এ ব্যবসার মূল হোতা লিটন খান।

অভিযোগ রয়েছে গত বৃহস্পতিবার লিটন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা স্থানীয় ফারুক সিকদারদের সাথে নিয়ে রাতের আধাঁরে রামদা, ছ্যানা, লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে নূরুল হক সিকদারদের বিরোধীয় জমিতে চাষাবাদ করে বীজ রোপন করে। ওই জমি নিয়ে নূরুল হক সিকদারদের সাথে একই গ্রামের ফারুক সিকদারদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। নূরুল হক সিকদারের পুত্র মাসুদ সিকদার জানান, গত বৃহস্পতিবার লিটন ও তার বাহিনীর সহায়তায় বাদল হাওলাদার, ইউনুস হাওলাদার, রাজ্জাক হাওলাদার, খবির মোল্লা, রাজ্জাক জোমাদ্দার, আল আমিন হাওলাদার, শাহাদাত সিকদার, সোবাহান সিকদার, সেকান্দার সিকদাররা পরিকল্পিতভাবে ধারাল অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে তাদের জমি চাষাবাদ করে।

এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান। স্থানীয় মেম্বার মজিবর আকন জানান, তিনি একাধিক লোকের নিকট হতে বিষয়টি শুনেছেন এবং তিনি এর সত্যতাও স্বীকার করেন। এ বিষয়ে লিটনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।