হাসান মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক ভোটার হচ্ছেন নারী। তাই এখানকার তিনজন মেয়র প্রার্থীরাই নারী ভোটারদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে নারীদের মন জয় কি আর পুরুষ দিয়ে হয়। এজন্য প্রয়োজন নারীদেরকেই। তারই বাস্তব প্রমান পাওয়া গেছে পুরো নগরী ঘুরে।
নির্বাচনের শুরু থেকে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের মধ্যেও বিরামহীন ভাবে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের নারীদের নিয়ে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও স্বামীর টেলিভিশন মার্কার পক্ষে প্রচার-প্রচারনায় পুরো নগরী জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন সিটি কর্পোরেশনের সদ্যবিদায়ী মেয়র ও সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের মেয়র পদপ্রার্থী শওকত হোসেন হিরনের স্ত্রী, নারী নেত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ। তারই ফলশ্র“তিতে এখানকার নারী ভোটাররা জেবুন্নেছা আফরোজের সাথে সম্মিলিত নারী সমাজ উন্নয়ন নামের সংগঠন তৈরি করে জোট বেঁধে এখন প্রতিদিনই নিজ নিজ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরন মেয়র থাকাকালীন সময়ে সিটি কর্পোরেশনের বাস্তবায়নাধীন ইউপিপিআর প্রকল্পের মাধ্যমে মহানগরীর অর্ধলক্ষাধিক হতদরিদ্র নারীকে স্বাবলম্ভী করেছেন। যাদের বেশির ভাগ নারীরাই অতীতে ভিক্ষা করতো।
স্বাবলম্ভী একাধিক নারীরা জানান, হিরন মেয়র থাকাকালীন সময় তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও তিনি (হিরন) নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার স্ত্রী নারী নেত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ সব সময় তাদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই এখন তারা জোটবদ্ধ হয়ে আরো উন্নয়নের স্বার্থে হিরনের টেলিভিশনের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন। নগরীর পলাশপুর বস্তির বাসিন্দা শেফালী বেগম, জরিনা বেগম, কুলসুম বেগমসহ অনেকেই জানান, তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটানো বীর পুরুষ হিরনের জন্য কিছু করার সুযোগ পেয়ে (ভোট চাইতে মাঠে নামতে পেরে) তারা আজ নিজেদের গর্বিত মনে করছেন। তারা আরো জানান, হিরনের স্ত্রীকে সুখে-দুঃখে তারা সবসময় তারা কাছে পান। কিন্তু এখানকার অপর দু’মেয়র প্রার্থী আহসান হাবিব কামালের স্ত্রী ও মাহমুদুল হক খান মামুনের সহধর্মিনীর অহংকার বেশি, তাই তারা কেউ নারী ভোটারদের সাথে দেখা পর্যন্ত করেননি।