রাশেদ আহমেদ ॥ চলতি বোরো মৌসুম পুরোপুরি শেষ হতে না হতেই অস্থির হয়ে উঠেছে বরিশালের চালের বাজার। গত ১৫দিনের ব্যবধানে মানভেদে এখানে প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বাড়ায় বিকিনিকিও তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।
পাইকারী বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বালাম-২৮ চাল ৩২/৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই চাল আজ শনিবার বিক্রি করা হয়েছে ৩৮ টাকা কেজি দরে। একই সময় মোটা দেশী চাল যেখানে বিক্রি হতো ২৩ টাকা কেজি দরে, তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। ৩৫ টাকা দরের মিনিকেট এক সপ্তাহের ব্যবধানে হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। স্বর্ণা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৯ টাকা কেজি, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে বুলেট বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকা কেজি দরে, তার দাম ওঠে ৩০ থেকেক ৩১ টাকা প্রতি কেজি। স্থানীয় জাতের-২৮ গত সপ্তাহে ২৭ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। বরিশালের পাইকারী চাল বাজারের আড়ৎদার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, মোকামের (যশোর, বেনাপোলে) আমদানী কারকরা চালের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় আমাদের বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে। ফলে আমরাও বাড়তি দামে চাল বিক্রি করছি।
বরিশাল নগরীর খুচরা চাল বিক্রেতা আউয়াল হোসেন জানান, বড় ব্যবসায়ীরা চাল গুদামজাত এবং মিল মালিকেরা চাল মজুদ করায় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।