জানা গেছে, গত মে মাস থেকেই মনে হচ্ছিল দানবাক্সে ডলারের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কমিটির সকলকে বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। অবশেষে মসজিদের সিসিটিভি পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, গভীর রাতে মসজিদ ভবনের সদর দরজা দিয়ে কেউ ভেতরে ঢুকে ফায়ার এস্কেপ বেয়ে দোতলায় মসজিদের জানালা পর্যìত্ম উঠে এবং জানালা খুলে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর দানবাক্সের তালা খুলে সামান্য কিছু রেখে অবশিষ্ট অর্থ চুরি করা হয়। মে মাসের ৫ তারিখে এ ব্যাপারে নিকটস্খ পুলিশ স্টেশনে বিষয়টি লিখিতাকারে অবহিত করা হয়। পুলিশ প্রশাসন থেকে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয় এবং ওঁৎপেতে বসে থাকতে বলা হয় হাতেনাতে চোরকে ধরার জন্য। কিন্তু চোর এতই চতুর যে টেকনিক পাল্টাতে থাকে। অক্টোবর, নভেম্বর এবং চলতি জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে আরো ৩ বার সে চুরি করে। অবশেষে কমিটির পক্ষ থেকে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা বিষয়টি মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত ২.৪৩ মিনিটে মসজিদের ইমাম ভিডিওতে দেখতে পান চোরকে। সাথে সাথে ফোন করা হয় সভাপতি নাসিরউদ্দিনকে। জনাব নাসির ফোন করেন পুলিশ স্টেশনে। ৫ মিনিটের মধ্যে সকলে ঘেরাও করেন মসজিদ ভবন এবং ভেতরে দেখতে পান বাক্স থেকে চাঁদার অর্থ চুরি করছে রাহেল হাকিম। পাকড়াও করা হয় তাকে। ৯ নম্বর প্রেসিঙ্কটে দায়েরকৃত অভিযোগ নম্বর হচ্ছে ২০০৯- ০২৩৬৯।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জনাব নাসির এনাকে আরো জানান, ব্রঙ্কসে তার মা-বাবা-আত্মীয়-স্বজন বসবাস করেন। কিন্তু তাদের সাথে রাহেল হাকিম থাকে না। এর আগে সে কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিল চুরির দায়ে। প্রসঙ্গত উলেíখ্য যে, নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশীদের পরিচালনাধীন কয়েকটি মসজিদের দানবাক্স থেকে এর আগেও বিপুল অর্থ চুরি হয়েছে। কিন্তু কাউকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
Source : এনা, নিউইয়র্ক থেকে http://www.khabor.com/news/prabash/01/prabasher_news_01212010_0000003.htm