তেমনি এক কুতুবের কাহিনী পড়লাম আজকের দৈনিক প্রথম আলোতে। মায়ের চল্লিশায় ২৫টা তড়তাজা গরু জবাই করে ১৭৫ মন চালের ভাত দিয়ে ৩০ হাজার অতিথি আপ্যায়ন করেছেন। ভূমি মন্ত্রনালয়ের প্রোটকল অফিসার কুতুব উদ্দিনের বাড়ি শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপারা ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামে। সর্বসাকুল্যে অনুষ্ঠানটি সমাধা করতে ব্যয় হয় ৫০ লাখ টাকা। উল্লেখ থাকে এই সেই কুতুব উদ্দিন যাকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে অবৈধ সম্পদ আয়ের জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল চাকরী হতে। ১৬ মাস জেল খাটার পর মামলার উপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ জারি করানোর মধ্য দিয়ে ২০০৯ সালে গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে জামিনে বেরিয়ে আসেন, এবং ফিরে পান হারানো চাকরী। একজন প্রোটকল অফিসারের মাসিক কত টাকা আয় হলে মার চল্লিশায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায় করতে পারেন তা হিসাব করার ভার পাঠকদের উপরই ছেড়ে দিলাম। রাজনীতির এমনি এক বিগ ফিশকে চিনতাম যিনি জীবিতাবস্থায় মাকে খরপোষ দেয়া দূরে থাক শারীরিক অত্যাচার পর্য্যন্ত করতেন। সেই মায়ের মৃত্যুর পর তিনি আয়োজন করেছিলেন চোখ ধাঁধাঁনো এক চল্লিশা। আশাকরি প্রোটকল অফিসার কুতুব উদ্দিন এ দিক হতে পরিস্কার ছিলেন।
দ্বিতীয় একটা খবরও সরকারী টাকা পয়সা সংক্রান্ত। অন্য এক ব্লগে জনৈক ব্লগার জানাচ্ছেন নবম জাতীয় সংসদের প্রথম বছরে বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন ৩ দিন জাতীয় সংসদে উপস্থিত থেকে আয় করেছেন ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ দিনে ১০ লাখ টাকা। জনাবা জিয়ার আয়ের হিসাবটা এ রকমঃ মাসিক পরিতোষক হিসাবে ১ বছরে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। আপ্যায়ন খরচ ১০ লাখ টাকা। বছরের ঐচ্ছিক খরচ ১ লাখ টাকা, ভ্রমন ভাতা ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও আছে জ্বালানি ও চিকিৎসা ভাতা খরচ। দেশ বিক্রীর সংসদে কথা বলতে দেয়া হয়না, এমন একটা আজুহাতে সংসদে না গেলেও বেতন-ভাতা সহ যাবতীয় সূবিধা নিতে কোথাও কিছু বিক্রীর অভিযোগ না তুলেই সানন্দে নিয়ে গেছেন ৩০লাখ টাকা। এ না হলে আর দেশনেত্রী!
রসের গুড় পিঁপড়ায় খায়! বাংলাদেশের সরকারী খাঞ্জানীখানাও তেমনি এক রস, যা রাজনীতিবিদ এবং তাদের সেবাদাসের দল পিঁপড়ার মত খাচ্ছেন দিনের পর দিন বছরের পর বছর।
Writer abd Source from : WatchDog (Ami Bangladeshi) dot. com