গাঁজাখোর ও মাদকসেবীদের আড্ডা

বিগত ২০০০ সালে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার, তার ভাই সেলিম তালুকদার ও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ডা. নিজাম শাহকে ভিটি বরাদ্দের জন্য রাতের আঁধারে শহীদমিনার ভেঙে অন্যত্র স্থাপন করে। এঘটনা সেসময় আগৈলঝাড়াবাসীর মনে দাগ কাটলেও প্রভাবশালীদের কারণে কেউ কোন প্রতিবাদ জানাতে পারেনি।

বর্তমানে শহীদমিনারটি যেখানে স্থাপন করা হয়েছে সেখানেও সারাবছর চলে গাঁজাসেবীদের আঁখড়া ছাড়া ব্যবসায়ী ও পথচারীদের যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ। যেকারণে সেটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়াসহ ময়লা ও মলমূত্রের দূর্গন্ধে অপরিচ্ছন্ন থাকে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরজমিনে বিএইচপি একাডেমীর শহীদমিনার দেখতে গেলে দেখা যায় সেনিটারী ব্যবসায়ীর পাইপ, পানির ট্যাংকি এবং একটি সেলুন ব্যবসায়ীর দোকান তৈরীর মালামাল স্তুপ করে রেখেছে। সারাবছর উপজেলার শহীদমিনারগুলোর দিকে কোন নজরদারী বা খেয়াল না থাকলেও শুধু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের লক্ষে একদিনের জন্য পরিস্কার করা হয়ে থাকে। উপজেলা প্রশাসনসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ শহীদমিনারগুলোর পরিচ্ছন্নতার জন্য কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
ছবির ক্যাপশনঃ আগৈলঝাড়ায় অরক্ষিত ও অপরিচ্ছন্নতার শিকার আগৈলঝাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।