সন্ধ্যা নদীতে ট্রলার ডুবিতে ২ জনের লাশ উদ্ধার ॥ ৪ জন নিখোঁজ ॥ ২০ জন আহত

করা হয়েছে। নিন্মজ্জিত ট্রলারের ৪ যাত্রী নিখোঁজ ও ২০ জন আহত হয়েছে। অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, লক্ষী পূজা উপলক্ষে উজিরপুরের হারতা বন্দর সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। বাইচ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার-হাজার লোকের সমাগম ঘটে নদীর দু’পারে। নৌকা বাইচ শেষে ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে হারতা খেয়াঘাট থেকে মায়ের দোয়া নামক একটি যাত্রীবাহি ট্রলার শতাধিক যাত্রী নিয়ে বানারীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। খেয়াঘাট থেকে ৪০ গজ দুরত্বে যাওয়ার পর অতিরিক্ত যাত্রী উত্তোলন করায় ট্রলারটি কাত হয়ে সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা অন্যান্য ট্রলার নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধার করে। এরমধ্যে ২০ জন যাত্রী আহত হয়। ট্রলারের ৪জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। তারা হলো বানারীপাড়ার শাখারিয়া এলাকার শাহিদা বেগম (২২), চন্দ্রহারের রাশেদ (১০), নাজিরপুরের শারমীন (৮) ও মনিম সরদার (৭)। ট্রলার ডুবির ঘটনার আধাঘন্টাপর সাড়ে ছয়টার দিকে স্থানীয়রা ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ে দু’যাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। 

 
আহত যাত্রী খালেক সরদার জানান, ট্রলারটির পাশ দিয়ে একটি স্পিড বোট যাচ্ছিল। তা দেখতে যাত্রীরা ডান দিকে ঝুঁকে পড়লে ট্রলারটি ডুবে যায়। হারতা ইউপি চেয়ারম্যান সুনিল বিশ্বাস জানান, ট্রলারে শতাধিক যাত্রী ছিল। ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী থাকায় ট্রলারটি ডুবে গেছে। উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয় সিন্ধু তালুকদার জানান, কি কারনে ট্রলারটি ডুবেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোজ যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে সাতটা ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।