চৈতির আত্মহত্যার ঘটনায় ২টি মামলা ॥ বখাটে গ্রেফতার হয়নি

কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী চৈতী আক্তার(১৭) আত্মহত্যার ঘটনায় কালকিনি থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলশ বাদী হয়ে ১টি ও মৃত চৈতীর বাবা শাহাদাত হোসেন শিকদার বাদী হয়ে বখাটে সাগরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা করার অভিযোগে আরো ১টি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই বখাটে সাগর পলাতক রয়েছে। চৈতির মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারে দুঃখের ছায়া আজো থামেনি। উল্লেখ্য, গত ১২ডিসেম্বর পৌর এলাকার দক্ষিণ কৃঞ্চনগর গ্রামের শাহাদাত হোসেন শিকদারের মেয়ে চৈতি আক্তার একই এলাকার বখতিয়ার শিকদারের ছেলে বখাটে সাগরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

সম্প্রতি কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ ক্যাম্পাসে কথা হয় চৈতির সহপাঠিদের সাথে। কলেজের সহপাঠি পারুল, লিপি ও জুঁইসহ অনেকেই বিলাপের সাথে স্মতিচারন করতে গিয়ে কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তাদের বক্তব্য চৈতি ও চাদনী ছিল যমজ দুবোন । একই কলেজের একই শ্রেণীতে তাদের সাথে পড়ালেখা করতো। দুবোন ছিল বান্ধবীর মত। গলাগলি ধরে কলেজে আসতো। ওরা দুবোনই শান্ত ও মেধাবী ছিল। পরীক্ষায় ওরা প্রয় একই নম্বর পেত। এখন থেকে চৈতীর সাথে তাদের আর কোনদির দেখা হবে না। একজন বখাটের জন্য চৈতির অকাল মৃত্যু হবে তা তারা মেনে নিতে পারছে না। তারা বখাটে সাগরের ফাসির দাবি করেছে। সারাদেশে ইভটিজিং নিয়ে হৈচৈ হলেও কালকিনি তার কোন প্রভাব ছিল না। চৈতীর মৃত্যুতে তারা এখন আতঙ্গিত। সহপাঠি পারুল প্রশ্নের সুরে বলে, আমরা কী কলেজে যাতায়াত পথে নিরাপদ? আমরা কী আমাদের পরিবারের অথবা পথে-ঘাটে নির্বিঘে নিরাপদে চলাচল করতে পারছি? এভাবে আর কত ছৈতীকে বখাদের কারণে মৃত্যুর কোলো ঢলে পড়তে হবে? মৃত চৈতীর ছোট বোন চাদনী এখনও ঘরে গিয়ে চৈতীর ব্যবহৃত জামা-কাপর, বই-পুস্তক জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছে।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বখাটে সাগরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ সাগরকে খুঁজছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায়  আনা হবে’।