গৌরনদীতে নতুন কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারনায় এগিয়ে

প্রত্যাহার করে নেয়ায় বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী তৌফিক ইসলাম স্বজল বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি আটটি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সমর্থক ৪০ জন কাউন্সিলর ও ১১ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর পরই তাদের নির্বাচনী এলাকার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ৪০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জন ও ১১ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭ জনই হচ্ছে নতুন প্রার্থী। নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারনায় ওইসব নতুন কাউন্সিলর প্রার্থীরাই রয়েছেন এগিয়ে। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা অব্যাহত রেখেছেন।

গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারনায় প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও প্রার্থীদের ওপর ক্ষমতাসিন দলের যেকোন মুহুর্তে যেকোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে এমন আতংক বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীরা বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যাপারে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হলে উল্টো তার প্রভাব পরতে পারে দলীয় মেয়র প্রার্থীর ওপরে। বিএনপি অধ্যুষিত এ পৌরসভায় গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মহাজোট মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ-দেয়ালঘড়ি। তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন চারদলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী, বর্তমান পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম নুর আলম হাওলাদার-আনারস। গতকাল মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর পরই প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় মাইকিং ও পোষ্টারিংয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

নির্বাচন বিশেষ্ণদের মতে, বর্তমানে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মাঠে থাকা ৫১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীরাই মহাজোট মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রথমে ভোট প্রার্থনা করে পরে নিজেদের জন্য ভোট চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ওপর দলের কোন প্রভাব পরলে সে প্রভাব উল্টো মেয়র প্রার্থীর ওপর পরার আশংকা রয়েছে।

কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ ও প্রচরনা চালিয়ে যাচ্ছেন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে-দেলোয়ার হোসেন দুলাল-মোরগ, বুলবুল দেওয়ান-আপেল, মনির হোসেন-হরিন, সিকদার মোঃ খোকন-ফুটবল, সোলায়মান হাওলাদার-ঘুড়ি, এস.এম জাকির হোসেন-চাঁদ ও শহিদুল ইসলাম-বালতি। ২ নং ওয়ার্ডে-মাহবুব আলম হাওলাদার-হরিন, জুয়েল খান-ফুটবল ও কে.এম আহসান ইমাম-মোরগ। ৩ নং ওয়ার্ডে তৌফিক ইসলাম স্বজল বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৪ নং ওয়ার্ডে-লিটন বেপারী-মোরগ, তুহিন সরদার-ফুটবল, নুর আলম সিকদার-হরিন ও ফরিদ মিয়া-আপেল। ৫ নং ওয়ার্ডে-রেজাউল করিম টিটু-হরিন, শাহ আলম ফকির-মোরগ, জয়নাল খন্দকার-আপেল, আব্দুস ছালাম খান-ফুটবল ও মোঃ মনিরুজ্জামান-বালতি। ৬ নং ওয়ার্ডে-কবির হোসেন খান-হরিন, আতিকুর রহমান-ফুটবল ও সোহেল ভূঁইয়া-মোরগ। ৭ নং ওয়ার্ডে-ফিরোজ রহমান-হরিন, জামাল হোসেন বাচ্চু-ফুটবল, গোলাম আহাদ মিয়া রাসেল-মোরগ ও শহিদুল ইসলাম-বালতি। ৮ নং ওয়ার্ডে-বকতিয়ার হাওলাদার-আপেল, আব্দুল হাকিম হাওলাদার-বালতি, মোঃ সুমন বেপারী-ফুটবল, ফারুক মৃধা-হরিন ও মিয়া গোলাম মোর্শেদ পান্না-মোরগ। ৯নং ওয়ার্ডে-হারুন-অর রশিদ বেপারী-মোরগ, আব্দুস সামাদ আকন মুন্না-হরিন, মোঃ বাবুল খান-ঘুড়ি, মোঃ আলাউদ্দিন বেপারী-বালতি, ইয়াসিন খান-আপেল, মন্নান সরদার-ফুটবল, খন্দকার মহিউদ্দিন আহম্মেদ-গিটার ও সফিকুল ইসলাম-চাঁদ। 

এছাড়াও ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন সেলিনা আক্তার-পদ্মফুল, মাহমুদা বেগম-পানপাতা, সুলতানা রাজিয়া লাভলী-কলস ও সালমা আক্তার ছবি-বই। ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সৈয়দা খায়রুন নাহার মায়া-কলস ও শাহনাজ পারভীন রুহিনা-পদ্মফুল। ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে মোসাম্মদ সাবিনা-সেলাইমেশিন, রোকেয়া বেগম-কলস, ফেরদৌসি ইসলাম-পানপাতা, হোসনেয়ারা বেবী-টিউবওয়েল ও ফিরোজা বেগম-পদ্মফুল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোটারদের পুরনোদিনের হিসেব নিকেশে কাউন্সিলর পদে এবার ভোটের লড়াই হবে নতুনে-নতুন প্রার্থীদের মধ্যে।