পরিবারের পূর্ব পুরুষদের দখলিয় সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষ থানা পুলিশের সরনাপন্ন হন। থানা পুলিশের কাছে দু’পক্ষই জমির মালিকানা দাবি করে। এসময় কৌতুহল বশত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলে ওঠেন আসলে জমি তুমি কার। পরবর্তীতে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বর্তমান দখলদারদের কাগজপত্র সঠিক বলে থানা পুলিশ রায় ঘোষনা করেন। এ রায়কে উপেক্ষা করে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা জমি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যেই ফের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নাঘিরপাড় গ্রামের।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বিশ্বেসর বাড়ৈ ও মঙ্গল বাড়ৈ দীর্ঘদিন থেকে তাদের পূর্ব পুরুষদের প্রাপ্ত পয়সা মৌজার বিভিন্ন দাগের ৫ একর ২৬ শতক জমি ভোগদখল করে আসছে। অতিসম্প্রতি ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিকানা দাবি করেন, পাশ্ববর্তী বড়াবাড়ি গ্রামের প্রভাবশালী হরেন্দ্র নাথ বাড়ৈ ও তার সহযোগীরা। এ নিয়ে বর্তমানে হাইকোটে একটি মামলা বিচারধীন রয়েছে।
অসহায় বিশ্বেসর বাড়ৈ অভিযোগ করেন, মামলা বিচারাধীন থাকা সত্বেও পেশী শক্তি ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে প্রতিপক্ষ হরেন্দ্র নাথ সম্পত্তি দখল করার জন্য নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫দিন পূর্বে হরেন ও তার সহযোগীরা জমি দখল করতে গেলে তারা (বিশ্বেসর) বাঁধা প্রদান করেন। এসময় হরেন ও তার লাঠিয়াল বাহিনী তাদের ওপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়। হামলায় মহিলাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। পরবর্তীতে তারা থানা পুলিশের সরনাপন্ন হলে পুলিশ হাইকোটের মামলা নিস্ফতি না হওয়া পর্যন্ত হরেন্দ্র নাথকে ওই জমির কাছে যেতে নিষেধ করেন। থানা পুলিশের এ নির্দেশকে উপেক্ষা করে প্রভাবশালী হরেন্দ্রনাথ ও তার সহযোগীরা জমি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বিশ্বেসর ও মঙ্গলকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অসহায় বিশ্বেসর বাড়ৈ ও মঙ্গল বাড়ৈ ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।