উপজেলার চন্দ্রহার গ্রামের আম চাষী রবিন দাস জানান, আম বাংলাদেশের একটি সহজলভ্য ও অতি প্রিয় ফল। অল্প খরচে এই ফলের স্বাদ উপভোগ করা যায়। ফলে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ আম খেয়ে তৃপ্তি লাভ করতে পারে। আর যে কারনেই বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আমের একটি সার্বজনীন চাহিদা রয়েছে। বড় কোন ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগ যদি না হয় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গৌরনদীসহ সমগ্র অঞ্চলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে চলতি মৌসুমে আম গাছে ব্যাপক মুকুলের সমাহার। চারিদিকে শুধু হলুদের সমারোহ। মুকুলের ভারে অনেক গাছের ডালপালা মাটিতে নুয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গাছের মুকুল টিকিয়ে রাখার জন্য গাছ মালিক ও আম চাষীরা এখনই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার চাঁদশী গ্রামের আম চাষী নজরুল ইসলাম জানান, এসব উপজেলায় দেশীয় প্রজাতের আমের পাশাপাশি শৌখিন আম চাষীরা ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আম্রপলিসহ আরো হরেক রকমের আম চাষ করে থাকেন। তিনি আরো জানান, অন্যান্য ফলের তুলনায় আমের দাম কিছুটা কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের জন্য অধির অপেক্ষায় থাকেন। গত বছর আমের ফলন প্রত্যাশিত না হলেও দাম ছিল সাধারন মানুষের নাগালের মধ্যেই।
উপজেলা কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছর গৌরনদীতে প্রায় তিনশত হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশী জমিতে আম চাষ হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত বছরের আবহাওয়া আম চাষের জন্য উপযোগী। কোন প্রকার বড় ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ বছর কৃষকদের ঘরে শতভাগ ফলন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমে গুটি আসার আগে ও পরে আমের গুটিতে যেন পোকা বা ছত্রাক আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে সময়মত ¯েপ্র করার জন্য গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর বিশ্বাস গাছ মালিক ও আম চাষীদের পরামর্শ দিয়েছেন।