কোতয়ালী থানার ওসির আত্নীয় পরিচয়ে!

পরিচয়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী মামলার আসামীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চরমোনাই’র বুখাইনগর বন্দরের এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন একটি ছিনতাই মামলা তুলে নিতে নাজিরপুল এলাকার ছোট টুটুলের দাপটে আসামীরা তাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। গ্রাম ছেড়ে শহরে আশ্রয় নেয়া যুবক শহিদুল ইসলাম নিরূপায় হয়ে আদালতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তার প্রার্থনা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। কাউনিয়া এলাকার ছোট টুটুল একদিকে ওসিকে তার মামা ও মামলার আসামীদের খালু বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে আসল সম্পর্ক কি তা জানা যায়নি।

ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ইয়াসিন শিকদার চুন্নু, কবির খাঁ, মোজাম্মেল শরীফ ও আব্দুর রব রাঢ়ী তার কাছে এক লাখ টাকার চাঁদাদাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় ৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে শহিদুল ইসলামকে আসামীরা মোটর সাইকেল স্ট্যান্ডে পিটিয়ে জখম করে। তার পকেট থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা সহ ৪০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত দেয়া হয় এসআই গোলাম কবিরকে। সে ঘটনাস্থল পরিদর্শণকালে আসামীরা এলাকায় থাকলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টো মামলা দায়েরের পর ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনের নিকটাত্মীয় পরিচয়ে নাজিরের পুল এলাকার ছোট টুটুল মামলার বাদী সহ পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। টুটুলের ঘোষণা এই ওসি থাকতে মামলার কোন আসামীকে কেউ গ্রেফতার করাতে পারবে না। টুটুলের এ হুঙ্কারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এ মামলার আসামীরা। তারা বাদীকে মামলা প্রত্যাহার না করলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। শহিদুল ইসলামের স্ব-মিল সহ বুখাইনগর বন্দরে যেসব ব্যবসা আছে তা গুটিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় শহিদুল সহ ব্যবসায়ীরা নানান উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে। টুটুলের বিরুদ্ধে র‌্যাবের দপ্তরে রয়েছে হরেক রকম অভিযোগ। এ কথা র‌্যাব কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন। সেখানে টুটুল কিভাবে আসামী গ্রেফতারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তা কারো বোধগম্য নয়।