জেলার ৫টি ব্রোকারেজ হাউজের সামনে গতকাল রবিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানা গেছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় গতকাল রবিবারের ডাকা হরতাল প্রত্যাহার করার ঘোষনা দেয়া হয়।
অপরদিকে পুঁজিবাজারের ভাগ্য নির্ধারনে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন বরিশালের ২০ হাজার বিনিয়োগকারী। বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয় তা দেখার জন্য এখানকার বিনিয়োগকারীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এখানকার অধিকাংশ বিনিয়োগকারীরা বলছেন যারা বাজার কারসাজী করে সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাজার-হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে তাদের প্রচলিত আইনে সম্ভব না হলে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হউক। বিনিয়োগকারী মুন্না আহম্মেদ বলেন, শেয়ার বাজারকে কারসাজী করে যারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ। বিনিয়োগকারী হোসাইন আলী কাজী বলেন, সরকারের টনক নড়ছে পূঁজি হারানোর পর। যখন আমাদের পূঁজি কমতে ছিল তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কিছুটা হলেও বাঁচতে পারতাম কিন্তু এখন আমাদের পূঁজি চারভাগের তিন ভাগ হয়ে গেছে। এখন এই শান্তনার বানী শুনে আমরা কি করব? সরকার কিংবা এসইসি ও ডিএসই’র ভুলের মাশুল আমাদের দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট যদি আরো বিনিয়োগকারীদের পূঁজি হারানো কষ্ট বেদনা বুঝতে পারত তাহলে এখন পথে বসতে হতো না।