ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য মুক্তিযোদ্ধার জমিদান

সমিতির উপদেষ্টা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও সম্প্রসারনে ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য জমিদান করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি উলেখযোগ্য ঘটনা। দানকৃত জমিতে শীঘ্রই বহিঃর্বিভাগ সুবিধাসহ হাসপাতাল নির্মান করা হবে বলে। হাসপাতালটির নামকরন করা হবে জমিদাতা মুক্তিযোদ্ধা এম. শাহ আলমের নামানুসারে “শাহ আলম ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল”। অবহেলিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারনের চিকিৎসা সেবার জন্য ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার লক্ষে বরিশালের আগৈলঝাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার এম.শাহ আলম গতকাল রবিবার কোটি টাকা মূল্যের জমিসহ নগদ অর্থ দান করেছেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডায়াবেটিক (বারডেম) হাসপাতালের উপদেষ্টা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী উলে¬খিত কথাগুলো বলেছেন। জমিদাতা মুক্তিযোদ্ধা এম.শাহ আলম বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারনের চিকিৎসার কথা ভেবে আমি দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মানের স্বপ্ন দেখেছি।  ডায়াবেটিক সমিতি যে মহৎ কাজ করে যাচ্ছে তার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে নিজেকে আজ ধন্য মনে করছি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিকে আগৈলঝাড়া উপজেলার কালুপাড়া মৌজায় ৩৩ শতক জমিসহ নগদ ১০ লক্ষ টাকা দান করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী এম.শাহ আলম। গতকাল রবিবার আগৈলঝাড়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এম.শাহ আলমের নিজ নামে রেকর্ডিয় সম্পত্তি নিরুপন দলিল সম্পাদন করা হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ডায়াবেটিক সমিতির পক্ষে পরিচালক (এষ্টেট) অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া, উপদেষ্টা ডাঃ শাহ মোহাম্মদ কেরামত আলী, জমিদাতার পুত্র এম. সাইদুল আলম সুবিরসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সচিবের নামে জমিটি নিরুপন দলিল সম্পাদন করেন আগৈলঝাড়া সাব রেজিষ্টার মানিক মুখার্জী। গৌরনদী-পয়সারহাট সড়কের আগৈলঝাড়া পল¬ী বিদ্যুত অফিসের সম্মুখের খালপাড়ের কালুপাড়া মৌজার ৩৩ শতক জমির দলিল হস্তান্তর করেন মুক্তিযোদ্ধা এম.শাহ আলম। দানকৃত জমির স্থানীয় বাজার মূল্য কোটি টাকারও অধিক।