হাবিবুর রহমান, চাচা মঞ্জুরুল বেপারী, রোকন বেপারী, ছালাম বেপারী, মকবুল বেপারী, জালাল বেপারী, চাচাতো ভাই রুবেল বেপারী, মঞ্জুরুল ইসলামসহ সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন মিলন ও তাদের সহযোগী বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদির বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বাদি নজরুলকে হত্যার চেষ্টা চালায়। নজরুলের মা ও স্ত্রী নজরুলের প্রান ভিক্ষা চাইলে হামলাকারীরা তাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। একই সময় হামলাকারীরা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হামলাকারীদের অব্যাহত হুমকির মুখে বাদি নজরুল এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেন।
মামলার প্রধান আসামি এম.এ হালিম বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার কাছে মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, বাদি নজরুল তার বংশীয় চাচা। তার সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত ২ মাস পূর্বে তার চাচা ও উল্লেখিত মামলার আসামি ছালাম বেপারীর স্ত্রী রানী বেগম বাদি হয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে নজরুল তাকে মোবাইল ফোনে নানা ভয়ভীতিসহ জীবন নাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে তিনি গত ২৬ ফেব্র“য়ারি গৌরনদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।