অমর একুশে স্মরণ এবং সকল শহীদদে’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে, অমর একুশে ফেব্রুয়ারী স্মরণ করেছেন। এবং হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ বাঙালির রক্তে রাঙানো, অমর একুশে ফেব্রুয়ারী। মহান শহীদ দিবস ও আনতর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১১, যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে সারাবিশ্বে স্বমহিমায় দিনটি পালিত হচ্ছে। একুশ মানে মাথানত না করা, একুশ মানে সামনে এগিয়ে চলা, একুশ মানে পরাজয় না মানা, একুশ মানে অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বঞ্চনা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। মহান একুশ এক অনিঃশেষ প্রেরণা। এক নবজাতক শিশু পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হওয়ার পর তাঁর মাতৃভাষায় ‘‘মা’’ বলে চিৎকার করে উঠে, হাসে কাঁদে, সেই প্রিয় মাতৃভাষা বাঙলা প্রতিষ্ঠার দাবীতে যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, শহীদ আব্দুল জব্বার, বরকত, রফিক, শফিক, সালাম ও আউয়ালসহ নাম না জানা অগণিত প্রাণ, তাঁদেরকে আজ পরম মমতায়, গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বিশ্ববাসী স্মরণ করছে! এবং সভ্যতার ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, থাকবে চিরদিন!

আজ থেকে প্রায় ৫৯ বছর আগে তৎকালীন পাকিসতানী শাসকগোষ্টী বাঙালির ‘মায়ের ভাষা’কে চিরদিনের জন্য সতব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। রক্ত আর বারুদের সমৃতি মাখায় আজকের এই মহান একুশ! ১৯৫২ সালে আজকের এই দিনে প্রিয় মাতৃভাষা বাংলাকে সর্বসতরে প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ শানিতরূপ লাভ করেছিল। একুশে ফেব্রুয়ারী রক্ত আখরে রচিত হয়েছে এক গৌরবোজ্জল ইতিহাস। একুশে ফেব্রুয়ারীর পথ ধরেই এগিয়ে এসেছে স্বাধীকার আন্দোলন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোসহীন নেতৃত্বে এই আন্দোলনের পথ ধরেই শুরু হয় স্বাধীনতা সংগ্রাম। ২৬শে মার্চ ১৯৭১ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর, শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, ত্রিশলক্ষ শহীদের রক্তের ও দু’লক্ষ মা-বোনে’র ইজ্জতের বিনিময়ে, ধর্মবর্ণ গোত্রের সীমানা পেরিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের জনম হয়। একুশ বাঙালির অহংকার। একুশ বাঙালির গর্ব ও ভালোবাসা।

মহান শহীদ দিবসে- নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলাদেশের তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমনত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার আনতরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ১৭ই নভেমবর ১৯৯৯ সালে মহান একুশে ফেব্রুয়ারী ‘‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি লাভ করে। বিশ্ববাসী আরও অবগত রয়েছেন যে, আজ থেকে প্রায় ৩৫/৩৬ বছর আগে জাতিসংঘের এক অধিবেশনে সর্ব প্রথম বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, অকুতোভয় বীর সনতান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবং তাঁরই সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে বার বার ‘মাতৃভাষা’ বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে গৌরবানিবত করছেন। এবং বাংলাভাষাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ‘ভাষা’ হিসেবে গ্রহন করারও দাবী জানিয়ে আস্‌ছেন।

অমর একুশে স্মরণে- নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে মাতৃভাষা আমরা পেয়েছি, আমাদের সেই মায়ের ভাষাকে নিয়ে আজও ষড়যনেত্রর অবশান ঘটেনি। মহান একুশের এবং অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায়ই মাতৃভাষার বিরুদ্ধে সকল ষড়যনত্রকে রুখতে ও প্রতিহত করতে হবে এবং আমাদের সংসকৃতি, আচার-আচরণে ও সর্বসতরে মাতৃভাষা বাংলা চালু করতে হবে, ইহাই হোক মহান শহীদ দিবসে আমাদের সকলের অঙ্গিকার! হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ, আজকের এই মহান শহীদ দিবসে- মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আরও সোচ্চার হওয়ারও দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এবং মাতৃভাষা আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদে’র রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন, সকল নেতৃবৃন্দ। অমর একুশে স্মরণে- হল্যান্ড আওয়ামী লীগের পক্ষে- বিবৃতিকারীরা হলেন সভাপতি জনাব মাঈদ ফারুক, সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন, ণান্টু মৃধা, এমদাদ হোসেন, ইমরান হোসেন, সন্দিপ কুমার দাশ, আবরার হোসেন ও টুকু খান, সাধারণ সম্পাদক মোসতফা জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান ও শ্যামল শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবদীন ও রশীদ রানা, প্রচার সম্পাদক মুহিন উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক বিষ্ণু বিশ্বাস, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ঈকরামুল পলাশ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল বাবুল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শামীম আক্রাম প্রমুখ।

-হল্যান্ড থেকে মুরাদ খান ( ৯ ফাল্গুন ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১১)