দক্ষিনের আবাদী জমির রবি শস্য এখন পানির নিচে

স্থানে অস্বাভাবিক হারে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে আবাদী জমির রবি শস্য এখন পানির নিচে। বিশ্বব্যাপী পানি দিবস পালন করা হলেও সেই পানিই সর্বনাশ ডেকে এনেছে দক্ষিণাঞ্চলের শতাধিক কৃষকের। অশ্র“সিক্ত ভাঙ্গা কন্ঠে এমনটাই জানিয়েছেন ভূক্তোভোগী কৃষকরা। তবে ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করতে পারে নি কৃষি বিভাগ। চন্দ্র সূর্যের আকর্ষনেই সৃষ্ট সাগরে জোয়ার ভাটার কখনবা উত্তাল হয়ে ওঠে সাগরনদীর মোহনা। সেই ধারায় দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পূর্নিমার সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে নদনদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক হারে নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চল পবিত হয়েছে। এতে করে শত শত কৃষকের কয়েক হাজার জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানায় গত শনিবার সন্ধ্যায় পূর্নিমার জোতে বিভাগের বিভিন্ন স্থানের নদীকুলবর্তী জমিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে যা এখনও বহমান থেকে রবি শস্যের ব্যপক ক্ষতি করে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের তরমুজ চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, ১০ একর জমিতে ১৭ লক্ষ টাকার তরমুজ চাষ করে সে। যা এখন পুরোটাই পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হওযার পথে। যে সব শস্য সব থেকে বিশ নষ্ট হয়েছে তার মধ্যে মুগডাল, তরমুজ, খেশারী, চিনা বাদাম, তিল, ফুট, মিষ্টি আলু, মরিচ, সয়াবিন, ছোলা অন্যতম। এদিকে কৃষকরা যখন উঠতি তরমুজ, মুগ, মরিচ, মিষ্টি আলু ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত হয়েছিলেন ঠিক তার আগ মুহূর্তে তাদের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে। ভূক্তোভোগী কৃষকরা এখন জানেনা কিভাবে তারা তাদের বিপুল পরিমান এই লোকসান ঘোঁচাবে।