র‌্যাবের টহল বৃদ্ধি ও স্থায়ী অবস্থানের দাবি

প্রত্যন্ত সরিকল ইউনিয়নের ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য নানাধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের সাধারন ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে চরম আতংক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সরিকল ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা, র‌্যাবের টলহ বৃদ্ধি ও র‌্যাব সদস্যদের স্থায়ী ভাবে অবস্থানসহ ১১ টি দাবি উল্লেখ করে এলাকাবাসির পক্ষে ১৮টি দপ্তরে ডাকযোগে লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। স্থগিত হওয়া সরিকল ইউনিয়নের নির্বাচন আগামি ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে ও আবেদনে জানা গেছে, সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারন সদস্যরা রিটানিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে পুলিশের তালিকাভূক্ত র্শীর্ষ সন্ত্রাসীর অভিযোগে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া সুভাষ হালদার ও ইমাম মৃধার মনোনয়নপত্র দুটি বাতিল করা হয়। এ খবরে সরিকল ইউনিয়নের সাধারন ভোটারদের মাঝে স্বত্তি ফিরে এসেছিলো। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হওয়ায় ওই দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে পূর্ব নির্ধারিত (২৯ মার্চের) ভোটগ্রহনের তারিখ পরিবর্তন করে ৩ এপ্রিল ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়। সে মতে ওই ইউনিয়নের ভোটগ্রহনের তারিখ পরিবর্তন করে আদালতের তারিখই বহাল রাখা হয়। এতে পূর্ণরায় আতংকিত হয়ে পরেন ভোটার ও প্রার্থীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইউনিয়নের একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও অসংখ্য ভোটররা অভিযোগ করেন, এককালের সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবেখ্যাত সরিকল ইউনিয়নের অতীতে ৫ জন চেয়ারম্যান ও প্রার্থীকে হত্যা ও ভোট ডাকাতির অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। আগামি ৩ এপ্রিলের নির্বাচনে পূর্ণরায় ভোট ডাকাতি ও দাঙ্গা হাঙ্গামার আশংকা রয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেন, ইতোমধ্যে সুভাষ ও ইমাম মৃধার সমর্থকেরা পৃথক ভাবে রাতের আঁধারে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য সাধারন ভোটারদের নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ নিয়ে এখনই সাধারন ভোটার ও প্রার্থীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন।

অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য তারা ভোটের তিনদিনপূর্বে নির্বাচনী এলাকায় র‌্যাবের টহল বৃদ্ধি ও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে র‌্যাব সদস্যদের স্থায়ী অবস্থানসহ ১১টি দাবি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালক, জেলা পুলিশ সুপারসহ ১৮টি দপ্তরে ডাকযোগে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন।