পানির দামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা বিক্রি

আইনী বালাই নেই এখানে। ক্ষমতার দাপট আর অবৈধ অর্থের বিনিময়ে অহরহ হাত বদল হচ্ছে পানি পাউবোর জায়গা। প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকলেও দিনের পর দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় গড়ে তুলছে দালান। চোখ বুলালেই এখন যেখানে সেখানে অবৈধ স্থাপনার নজরকারা সৌন্দর্য। সহকারী পরিচলাক বলছেন আমরা তো একশনা লিজ দিচ্ছি। সেখানে ভবণ উঠবে কি ভাবে ? জানা গেছে ২০১১ সালের প্রথম তিন মাসে হিজলা উপজেলায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড মাত্র ৬০ থেকে ৭০ জনকে জমি লিজ প্রদান করেন। এর মধ্যে হিজলা থানার টাকার কুমিররা ঐ জমির মালিক হয়েছেন। আর ১০ বছর আগথেকে লিজ এনে তারা হচ্ছেন প্রতারিত। এমন অভিযোগ লাকরি বিক্রেতা কারিকরের। তিনি জানান, বিগত ১০ বছর যাবত বরিশাল পানি উন্নয় বোর্ড থেকে জমি লিজ এনে ঐ জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন। এ বছর তার জমিতে মাছ চাষ করতে গিয়ে বিপদ। অর্থ আর বিত্তশালীরা তার জায়গা দখল করে নিচ্ছে বরিশাল পাউবোর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহায়তায়। একই অবস্থার স্বীকার স্থানীয় ভূষি বিক্রেতা মোড়লের। পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকারী মোড়ল। পাউবো ঐ জমি অধিগ্রহন করে। পরবর্তীতে লিজ কেটে মাছ চাষ করছে দীর্ঘ দিন। ২০১১ সালে ঐ জমি দখল করে নিয়েছে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের বক্তব্য পাউবোর কাছ থেকে লিজ এনেছেন। সে মোতাবেক পুকুর ভরাট করে দালান করছেন তারা।

অপরদিকে উপজেলার হৃদপিন্ডের মাঝখানে পাউবোর জলাধার ভরাট করে দালান করতে শুরু করছেন হিজলা ডিগ্রি কলেজের সহ অধ্যাপক মীর আঃ মাজেদ। জানাগেছে তিনি পাউবোর কাছ থেকে ৯৯ বছরের জন্য ঐ জায়গার লীজ এনেছেন। সে মোতাবেক তার বাড়ি বানানোর কাজ চলছে। হিজলা পাউবোর জলাধার ভরাট, বহুতল ভবন নির্মান, পাকা মার্কেট তৈরীর হিড়িক বিষয় আলপ হয় বরিশাল পাউবোর সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির এর সাথে। তিনি জানান হিজলা উপজেলায় বেশ কিছু জায়গা পতিত পড়ে আছে ঐ জমিগুলো একশনা লিজ দেয়া হচ্ছে। তবে তাতে স্থাপনা তৈরী করার জন্য নয়। যদি কেউ করে থাকেন তা তাদের অগোচরে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন এক মাসে যে হারে পাউবোর জায়গায় দালান হচ্ছে তা তাদের সহায়তায়। এর আগে এধরনের কর্মকান্ড হতে দেখা যায়নি। যার পেছনে রয়েছে পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনৈতিক অর্থের লেন দেন। এর একটা বিহীত হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

হিজলা উপজেলায় এভাবেই অবৈধভাবে জলাধার ভরাট করে তৈরী হচ্ছে বহুতল ভবন। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। কালোটাকার কালো থাবায় নিশ্চুপ সবাই।