তিনি একই সাথে শ্রমিক দল ও লীগের সভাপতি

পাল্টে শ্রমিক লীগের সভাপতি বনে গেলেন । বরিশাল বিআরটিসির শ্রমিক কর্মচারী দলের সভাপতি বজলুর রহমান খান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক লীগের সভাপতি বনে গেলেন আকস্বিক ভাবেই । দল থেকে পদত্যাগ বা শ্রমিক লীগে যোগদান করতে হয়নি তাকে । বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আলোচিত শ্রমিক নেতা আফতাব হোসেনের ঘনিষ্ট লোক হওয়ায় বজলুর রহমানকে দল পাল্টাতে কোন আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয়নি । প্রভাব শালী ঐ নেতা মহাজোট সরকার গঠনের পর শ্রমিক দলের সভাপতিকে ডেকে নিয়ে শ্রমিক লীগের কমিটিতে আহ্বায়ক করেদিয়েই সব হালাল করে নিয়েছেন । ত্যাগি ও পরিক্ষিত শ্রমিক লীগের নেতাদের মতে বজলু আ’লীগ ও বিএনপির আমলে সমান তালে এখানকার শ্রমিকদের শোষন করে চলেছে । বরিশালের শ্রমিক লীগের ত্যাগি নেতারা আফতাবের ভয়ে মূখ খুলতে পারেনি দীর্ঘ দিন । সম্প্রতি নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পরই বরিশাল থেকে পালিয়ে যায় আফতাব । এরই পর হাফ ছেরে বাচে এখানকার ডজন খানেক শ্রমিক লীগের ত্যাগী নেতা । তারা বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লেিগর বিতর্কিত কমিটি নিয়ে মূখ খুলেন । আর এতেই বেরিয়ে আসে আফতাবের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের খতিয়ান । বজলু জাতীয়তাবাদি শ্রমিক দল থেকে পদত্যাগ না করে ঐ পদে বহাল থাকা অবস্থায় শ্রমিক লীগের সভাপতি হওয়ার বিষয়ে বলেন আফতাব ভাই তখন কোন লোক না পেয়ে আমাকেই সভাপতি করেছেন । বরিশাল বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ ছাড়া এখানে এখন আর অন্য দলের কর্মকান্ড হয়না বলেও দাবী বজলুর রহমানের । জাতীয়তা বাদীদল থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান ।

এবিষয়ে আলাপকালে বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারী লেিগর কেন্দ্রিয় সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা । তবে বরিশাল মহানগর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আফতাব হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক পরিমল বরিশালে বিআরটিসির ডিপো শ্রমিক কর্মচারী লেিগর কমিটি গঠনের সময় বজলুর রহমান খানকে সভাপতি করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে । তাদের কথা মতই বরিশালে বজলুর রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে । সে শ্রমিক কর্মচারী দলের সভাপতি এবিষয়ে তখন কোন কথা ওঠেনি । ###

ই- সেন্টারের অপেক্ষায় বরিশালের ২০ ইউপি
উম্মে রুম্মান,বরিশাল ॥ বরিশাল জেলার ৮৫ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২০টি ইউনিয়ন পরিষদে ই- সেন্টার (তথ্য সেবা কেন্দ্র ) স্থাপিত হয়নি। ওই সব ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারনে ই -সেন্টার স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। বিসিসি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন ইউনিয়নে ই-সেন্টার স্থাপনের কর্মসূচী হাতে নেয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। কর্মসূচী শেষ হওয়ার কথা এ বছরের জুনে। এ কর্মসূচীর আওতায় দু’বিভাগে ২০৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। বিসিসি ওই সব ইউনিয়নে সৌর শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করছে বলে জানায়।

বরিশালের যে ২০টি ইউনিয়নে ই -সেন্টার স্থাপিত হয়নি সেগুলো হলো বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চরামদ্দি,চরাদি,দুধল,দূর্গাপাশা ও নলূয়া। মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার গবিন্দপুর, আলিমাবাদ,জাঙ্গালিয়া,চরগোপালপুর , দড়িরচর খাজুরিয়া,চানপুর,উলানিয়া,বিদ্যানন্দপুর। মুলাদীতে বাটামারা, নাজিরপুর ও গাছুয়া। হিজলায় মেমানিয়া,ধুলখোলা ও হিজলা-গৌরবদি। বানারীপাড়ার বানারীপাড়া ইউনিয়ন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর কারনে হিজলা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পৌছেঁনি। কালাবদর, মাছকাটা এবং তেতুলিয়া নদী দিয়ে ঘেরা মেহেন্দীগঞ্জের আলিমাবাদ,জাঙ্গালিয়া,চরগোপালপুর ইউনিয়ন। গজারিয়া আর লতা নদী দিয়ে বিভক্ত দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন। হিজলা উপজেলার তিন ইউনিয়নও মেঘনার ওপারে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনের কারনে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশা, মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে মেহেন্দীগঞ্জের গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ অফিস সরিয়ে নিতে হয়।

তবে এসব এলাকার অবস্থাসম্পন্ন লোকজন সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে বহুদিন ধরে। কিন্তু ব্যয়বহুল সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে কম্পিউটার চলেনা। তারা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে ই- সেন্টার স্থাপন হবে।
বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান হাবিবুর রহমান জাণান, ইউনিয়নে  তথ্য কেন্দ্র চালু হয়েছে জানার পর থেকে কৃষকরাই তার কাছে বেশী আসছে কৃষির খোঁজ খবর নিতে। কিন্তু কীভাবে তথ্য দেয়া যাবে সে ধারনা ছিলনা তার। বিসিসি এবং প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রশিক্ষনের পর বিষয়টি তার কাছে পরিস্কার হয়েছে।
সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের তথ্য সেবা কর্মকর্তা তুলশী রানী জানান, ই- সেন্টার স্থাপিত হলেও ইন্টারনেট কানকেশন নেই।  এলাকার লোকজনকে তা বোঝানো যাচ্ছিলনা। এখন মডেম পেয়েছি ভালোভাবে কাজ করতে পারবো।